• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হেলিকপ্টারে কে যাচ্ছে কোথায়, আসছে নজরদারি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ জুন ২০১৯, ২০:৫৫
হেলিকপ্টার
ফাইল ফটো

নজরদারির আওতায় আসছে দেশের বেসরকারি হেলিকপ্টারগুলো। হেলিকপ্টারে চড়ে কোন ব্যক্তি কখন কোথায় যাচ্ছে, এর কোনও সুষ্ঠু নজরদারি নেই। এমনকি নজরদারিতে নেই নির্ধারিত গন্তব্যের বাইরে হেলিকপ্টার অবতরণের বিষয়টি।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বেসরকারি হেলিকপ্টারগুলোতে ট্র্যাকিং যন্ত্র বসিয়ে নজরদারির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। ফ্লাইট, পাইলট ও যাত্রীদের তথ্য নজরদারি করতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করবে বেবিচক। এদিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বেসরকারি হেলিকপ্টার পরিচালনার বর্তমান নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, দেশে এখন ৮টি প্রতিষ্ঠানের অধিনে অন্তত ৩০টি হেলিকপ্টার রয়েছে। হেলিকপ্টার সেবা দিতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আবেদন বেবিচকে জমা পড়েছে। বেসরকারি হেলিকপ্টারগুলো রোগী পরিবহন, দ্রুত গন্তব্যে যাওয়া, ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এর বাইরে কোনও গোপন বা অপরাধমূলক কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার হওয়ার বিষয়টি নজরদারিতে নেই।

সূত্র বলছে, হেলিকপ্টারে নজরদারি না থাকায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে উদ্বেগ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত মে’তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বেসরকারি হেলিকপ্টারগুলোর নজরদারি সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে অভিযোগ ওঠে, হেলিকপ্টারের যাত্রী ও তাদের ব্যাগ ঠিকঠাক স্ক্যানিং করা হয় না। এতে মাদক বা অন্য অবৈধ পণ্য পরিবহনের ঝুঁকি থাকছে। হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারগুলো উড়ার পর অন্য কোথাও অবতরণ করে যাত্রীর গন্তব্য পরিবর্তন বা অবৈধ পণ্য বহন করছে কিনা সেটিও নজরদারির বাইরে। কয়েক দফা বৈঠক করে বেসরকারি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে অবৈধ পণ্য পরিবহন প্রতিরোধে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোকাব্বির হোসেনকে প্রধান করে কমিটিও হয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হেলিকপ্টার পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানগুলো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেবিচক থেকে অনুমতি নেয়। ফ্লাইটের গন্তব্য ও যাত্রীদের তথ্য দেওয়া হলেও কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তার নজরদারি করা হয় না।

মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, কয়েকটি সুপারিশ পেয়েছি। বেসরকারি হেলিকপ্টারগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীর জন্য গেলে স্থানীয় পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। রাজধানীতে এলে একটি পয়েন্ট দিয়ে যাত্রীরা বের হবেন। ফ্লাইটে যাওয়ার আগে-পরে নিরাপত্তা তল্লাশি হবে।

হেলিকপ্টারগুলো অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেবিচকের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়াউল কবির।

তিনি বলেন, শিগগিরই বেসরকারি হেলিকপ্টারে ট্র্যাকিং যন্ত্র বসবে। এ ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে। কী ধরনের যন্ত্র ব্যবহার হবে, তা নিয়ে পর্যালোচনাও হচ্ছে।

ওডি/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড