• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বছরে ৫০ লাখ টাকার কম বিক্রি হলে ভ্যাট নেই

  অধিকার ডেস্ক

১৩ জুন ২০১৯, ২০:৪৯
টাকা
ফাইল ফটো

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য রয়েছে সুখবর। এসব ব্যবসায়ীদের ভ্যাটের (মূল্য সংযোজন কর) বাইরে রাখতে বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভ্যাটের হার ৬ স্তর করা হয়েছে। ২, ২.৪, ৫, ৭.৫, ১০ ও ১৫ শতাংশ।

ভ্যাটের ব্যাপারে বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক আহরিত রাজস্বের মধ্যে মূসকের অবদান সবচেয়ে বেশি। বর্তমান সরকারের নানামুখী সংস্কার কর্মসূচি, সম্মানিত করদাতা ও ভোক্তাদের কর দিতে ইতিবাচক মনোভাব এবং রাজস্ব কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় এ খাতে রাজস্ব বেড়েছে।

এতে বলা হয়, ১৫ শতাংশ মূসকের পাশাপাশি নির্দিষ্ট পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ৫, ৭.৫ ও ১০ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে করভার কমাতে জন্য মূসক হার ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, পণ্যের সংবেদনশীলতা বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে ওষুধ ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসকের হার আগের মতোই ২ দশমিক ৪ এবং ২ শতাংশ অব্যাহত রাখা হয়েছে।

এছাড়া, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের ভ্যাটের বাইরে রাখতে বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অব্যাহতি, বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি পর্যন্ত ৪ শতাংশ হারে টার্নওভার কর দেওয়ার সুযোগের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এমএমই) খাতকে উৎসাহের প্রস্তাব করা হয়েছে। ভ্যাট নিবন্ধন সীমা ৮০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ কোটি করা হয়েছে।

পাশাপাশি বিদ্যামান ভ্যাট আইনে পরিবর্তনও আনা হয়েছে। এই আইনের তিনটি তফসিলে মধ্যে প্রথমটিতে ছিল পণ্যের অব্যাহতি, দ্বিতীয়টিতে সেবার অব্যাহতি ও তৃতীয়টিতে সম্পুরক শুল্ক হার। পরিবর্তিত আইনে প্রথম তফসিলে পণ্য ও সেবার অব্যাহতি, দ্বিতীয়টিতে সম্পূরক শুল্ক হার এবং তৃতীয়টিতে পণ্য ও সেবার হ্রাসকৃত/নির্ধারিত মূসক হার ও পরিমাণ।

অন্যদিকে, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন, ২০১২ আইনটিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তি সনদ গ্রহণ, রিটার্ন দাখিল, কর পরিশোধ, রিফান্ড ও প্রত্যার্পণ সমন্বয় ইত্যাদি কার্যক্রম অনলাইনে সম্পাদনের সুযোগ, পণ্য সরবরাহের আগে বিদ্যমান মূল্য ঘোষণা পদ্ধতির বদলে বিনিময় বা ন্যায্য বাজার মূল্যের ভিত্তিতে কর পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগের আইনে পণ্য সরবরাহের আগেই কর ‘হিসাব চলতি’ নামক হিসেবে জমা রাখার বিধান পরিবর্তন করে মাস শেষে দাখিলপত্রের মাধ্যমে কর পরিশোধ করা যাবে।

ওডি/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড