বাড়ি নির্মাণ খরচসহ যেসব জিনিসে দাম বাড়বে

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের শিরোনাম ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) তিনটার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতিতে বাজেট উপস্থাপন করতে শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার মুস্তফা কামালের দেওয়া এই বাজেটে ভ্যাটের পরিধি বিশাল হারে বিস্তৃত হয়েছে। নিত্য ব্যবহার্য কিছু পণ্যের ভ্যাট হারও বাড়ানো হয়েছে। এতে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

এবারের বাজেটে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি হওয়ায় জর্দা, গুল, বিড়িসহ সব ধরনের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচও বাড়তে পারে। বাজেটে রড উৎপাদন ও বিপণনে ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকায় বাড়ি নির্মাণ খরচ বাড়তে পারে।

উৎপাদন পর্যায়ে ট্যারিফ মূল্যের পরিবর্তে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের ফলে গুঁড়া দুধ, ফলের জুস, টয়লেট টিস্যু, চাটনি, গুঁড়া মসলা, টমেটো কেচাপ, চশমার ফ্রেম, টিউবলাইট ও এলপি গ্যাস, প্লাস্টিকের তৈরি গৃহস্থালি সামগ্রী, তারকাঁটা, থালা-বাসনসহ গৃহস্থালি সামগ্রী, স্ক্রু, ব্লেড, ট্রান্সফরমার, অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, সিআর কয়েল, রিডিং গ্লাস, জিআই ওয়্যার, সানগ্লাসের দাম বাড়তে পারে।

সেবার ওপর ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, পরিবহন ঠিকাদার, স্বর্ণ ও রুপার জুয়েলারি, লঞ্চের এসি কেবিন, ইনডেনটিং, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, আসবাবপত্র ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের খরচ বৃদ্ধি হতে পারে।

অর্থমন্ত্রী পোশাকের দামে আড়াই শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে জামা-কাপড়ের দাম বাড়তে পারে। জামা-কাপড় কেনার পাশাপাশি তৈরি করতেও খরচ বৃদ্ধি হতে পারে। কারণ জামা-কাপড় তৈরির ওপর ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে।

হেলিকপ্টারের সেবা মূল্যের ওপর ভ্যাটের পাশাপাশি সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। ফলে হেলিকপ্টারে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খরচ বাড়তে পারে।

যাত্রীবাহী বাস, অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলবাস, পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ছাড়া সব ধরনের পরিবহন রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট নবায়ন, ফিটনেস সনদ, মালিকানা সনদ নিতে এবং নবায়ন করতে বিআরটিএ নির্ধারিত সেবামূল্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপের কারণে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি বৃদ্ধি হতে পারে। সুগার ও রিফাইন সুগারের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়ছে। যেটি আগে ছিল ২০ শতাংশ। এ কারণে চিনির মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

ওডি/এমআর