নিজস্ব প্রতিবেদক
বাবা ও মাকে হত্যার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ঐশী রহমান আছেন কারাগারে। আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এক সময় ঐশী খুবই উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করতেন। বখে যাওয়া সেই মেয়েটি এবার রমজানে নিয়মিত রোজা রাখছে।
রবিবার (২৬ মে) গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছে।
কারাগার সংশ্লিষ্টরা জানান, কারাগারে আজকে যে ঐশীকে দেখা যাচ্ছে, তিনি সেই ঐশী নন। তিনি আর আগের মতো আচরণ করছেন না, অনেকটাই পাল্টে গেছেন। মাঝে মধ্যেই অনুশোচনায় নিস্তব্ধ ও নির্বাক থাকেন। কনডেম সেলে তাকে প্রায়ই ফুপিয়ে কাঁদতে দেখা যায়। তিনি চলতি রমজানে শুরু থেকেই রোজা রাখছেন ও নিয়মিত নামাজ আদায় করছেন।
কারাসংশ্লিষ্টরা আরও জানান, কলঙ্কিত নেশা এখন ঐশীর জীবন হতে অনেক দূরে, তার মধ্যে আর নেশার প্রভাব নেই, মেয়েটির জীবনের নেশার সমাপ্তি ঘটেছে। তিনি বর্তমানে বেশ স্বাভাবিক। কারাগারে নাওয়া-খাওয়ার ব্যাপারে প্রথম দিকে থাকা নাক ছিটকানো ভাবটাও নেই, খাবারের বিষয়ে বিশেষ মনোযোগীও না। তিনি এখন কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত। প্রায়ই অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠে তার চোখে অশ্রু ঝরে।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান ঢাকার চামেলীবাগে নিজ বাসায় খুন হন। এ ঘটনায় অভিযোগ ওঠে তাদের মেয়ে পলাতক ঐশীর বিরুদ্ধে। পরে এক বন্ধুর বাসায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন ঐশী। বাবা-মাকে হত্যার দায় স্বীকার করে নেন তিনি।
এরপর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে মা-বাবাকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন ঐশী। এ ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। ৩৯ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। আর তার বন্ধু রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঐশী এখন স্থায়ীভাবে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বাসিন্দা।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড