• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শনিবার মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

  মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

২৪ মে ২০১৯, ১৯:৪৮
সেতু
গোমতী সেতু (ছবি : দৈনিক অধিকার)

অবশেষে শনিবার (২৫ মে) খুলে দেয়া হচ্ছে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু। কাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সেতু দুটির উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন্ন ঈদে এ পথে যাত্রীদের ঈদ যাত্রা হবে ভোগান্তিমুক্ত আর সেতু দুটি খুলে দেবার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন চালক ও যাত্রীরা।

বাড়তে থাকা যানবাহনের চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করার পর পুরাতন দুই লেনের সেতুর পাশে নতুন করে চার লেনের তিনটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। কাঁচপুর, মেঘনা আর গোমতী সেতুর পাশে নতুন এই সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি। নতুন সেতু নির্মাণ আর পুরাতন সেতুর পুনর্বাসন কাজ শেষ হবার কথা ছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ। তবে নতুন সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগেই আর পুরাতন সেতু পুনর্বাসন কাজও যথাসময়ে শেষ হবে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। তার মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সংস্থা (জাইকা) দিবে ৬ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা বাকি অর্থ জোগান দিবে বাংলাদেশ সরকার।

এর মধ্যে তিনটি সেতু (শুধু সেতু) নির্মাণে খরচ হয় ৪ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা তার মধ্যে ৩৯৭.৩ মিটার দীর্ঘ কাঁচপুর সেতু নির্মাণে খরচ হয় ৯৫০ কোটি টাকা, ৯৩০ মিটার দীর্ঘ মেঘনা সেতু নির্মাণে খরচ হয় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা আর ১৪১০ মিটার দীর্ঘ গোমতী সেতু নির্মাণে খরচ হয় ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।

নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় চলতি বছর ১৬ মার্চ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু। আর দ্বিতীয় ধাপে আগামী কাল খুলে দেয়া হচ্ছে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু।

সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক রফিউল ইসলাম জানান, সেতু দুটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। শেষ মুহূর্তে বাতি, রং ও ডিভাইডার লাগানোর কাজ চলছে। আসন্ন ঈদে এ রুটে ঈদ যাত্রা যানজট মুক্ত হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এই সেতুতে আগের মতো প্রতিটি পিয়ারে এক্সপানশন জয়েন্ট না থাকায় সেতু পার হবার সময় অন্যরকম অভিজ্ঞতা লাভ করবে যাত্রীরা। নতুন সেতুর চালু হবার পর শুরু হবে পুরাতন দুই লেন সেতুটির পুনর্বাসনের কাজ। আগামী ডিসেম্বর মাসে পুরাতন সেতুর পুনর্বাসন কাজ শেষ হলে মোট ছয় লেন সেতু ব্যবহার করা যাবে।

প্রকল্পটির প্রকৌশলী শেখ জহির উদ্দিন মাহমুদ জানান, সেতু তিনটি নির্মাণে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। উন্নত বিশ্বের এই প্রযুক্তি বাংলাদেশে একেবারেই নতুন। উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে এই সেতু টিকে থাকতে পারবে অন্তত ১০০ বছর।

তিনি জানান, সেতু তিনটির উপরিভাগ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে কন্টিনিউয়াস ন্যারো স্টিল বক্স গার্ডারের ওপর কন্টিনিউয়াস আর. সি. সি ডেক পদ্ধতি আর নিচের কাঠামোতে ব্যবহার করা হয়েছে, আর. সি. সি. পিলার ও দুই প্রান্তে ইনভার্টেট টি প্রকৃতির অ্যাবাটমেন্ট যা সেতুগুলোকে অধিক মজমুত করেছে।

এ দিকে সেতু দুইটি খুলে দেবার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে চালক ও যাত্রীরা। নির্ধারিত সময়ের আগে সেতু দুইটির কাজ সমাপ্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানান তারা।

যাত্রীরা জানান, চার লেন মহাসড়কে দুই লেনের সেতু আর যানবাহনের অত্যধিক চাপে প্রায় এক বছর যানজট প্রতিদিনে চিত্র ছিল মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া আর কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশে। যানজটে আটকে নাভিশ্বাস উঠত যাত্রীদের আর নষ্ট হতো হাজার হাজার কর্ম ঘণ্টা। সেতু দুটি খুলে দেয়ায় তাদের দীর্ঘ দিনের এই দুর্ভোগ লাগব হবে।

ওডি/এমবি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড