• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সুখের আশায় শহরে ছুটছে মানুষ; ঘটছে উল্টো

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ মে ২০১৯, ১৭:৩১
শহর
ফাইল ফটো

ভালো কর্মসংস্থান ও জীবনযাপনের আশায় প্রতিদিনই গ্রামের মানুষ ছুটছে শহরে। এতে নগরীতে প্রতি বছর ১২ শতাংশ হারে বাড়ছে জনসংখ্যা। এ হিসেবে ২০৫০ সালে নগরে বাস করবে ১০ কোটি মানুষ। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় গ্রামের এসব মানুষকে সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে শহরগুলো। আশার উল্টোটাই ঘটছে এ মানুষগুলোর ক্ষেত্রে। জীবনযাপনের ব্যয় বহন করতে গিয়ে আরও দরিদ্র হচ্ছে গ্রাম থেকে নগরে আসা লোকেরা।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিচার্স সেন্টার (পিপিআরসি) ও উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের যৌথ গবেষণা এ তথ্য দিয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনটি বলছে, ভালো কাজ ও জীবনযাপনের আশায় প্রতিদিনই নগরে ছুটছে অসংখ্য মানুষ। অনেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভিটেমাটি হারিয়েও এসেছে নগরে। এদের অধিকাংশের ঠাঁই নিয়েছে বস্তিতে।

সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা বলছে, নগরে বছরে ১২ শতাংশ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০৫০ সালে দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ শহরে বাস করবে। এখন দুকোটি লোক অস্থায়ীভাবে শহরে থাকেন। তাছাড়া শতকরা ৫০ জন প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক সেবা পান না।

পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিচার্স সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. আব্দুল ওয়াজেদ বলেন, নগরের পাশের এলাকাতেও শিল্প উন্নয়ন ঘটছে। সেবাখাত, উৎপাদনমুখী শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পোন্নয়ন চলছে। সেখানে গ্রামের মানুষের চাকরি হচ্ছে। চাকরির লোভে তারা শহরে আসে। তারা মনে করে শহরে যেতে পারলেই কোনো না কোনো কাজ মিলবে। অথচ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলো। শহরে আসা গ্রামের মানুষের আয় বাড়লেও দরিদ্রই থেকে যাচ্ছে। কারণ বাসস্থান ও মৌলিক চাহিদা মেটাতেই সব খরচ হয়ে যায় তাদের।

ওই প্রতিবেদন আরও বলছে, নগরের দরিদ্রতা ২০০০ সালে ছিল ১৪.৫ শতাংশ। ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২১ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশন ডেভলপমেন্টের (ডিএফআইডি) বিশেষ উন্নয়ন উপদেষ্টা আনোয়ারুল হক বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে সরকার অনেক কিছু করলেও শহরে দরিদ্র লোক বেড়েছে। এ বিষয়ে পলিসিতে যেভাবে নজর দেওয়া দরকার, সেভাবে হচ্ছে না।

ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচি প্রধান হাসিনা মোশরফা বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এ অর্থের বড় অংশই চলে গেছে অন্য খাতে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর বলেন, শহরে দারিদ্র্যের হার কমাতে কম দামে বাসস্থান সেবার ব্যবস্থা করতে হবে। বিষয়টি বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে, তাহলে নগরের দরিদ্র লোকদের জীবনযাপনের মান উন্নত হবে। পৌরসভার অর্থের বরাদ্দ নিশ্চিত করা উচিত।

ওডি/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড