টিকিট কালোবাজারি হলেই ব্যবস্থা : দুদক

আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অ্যাপসের মাধ্যমে না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তদন্তে কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিটের সার্ভাররুমে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২২ মে) সকাল ১০টার দিকে দুদকের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে দুদকের তিন সদস্যের একটি টিম কমলাপুরে যায়। তারা অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের সার্ভারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় সার্ভাররুমের কর্মকর্তারা দুদককে জানান- সার্ভার ডাউন হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে গ্রাহকরা অনলাইনে টিকিট কিনতে পারছেন না। ঠিক করার কাজ চলছে।

এদিকে দুদকের উপসহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা টিকিট সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে এসেছি।

অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের সার্ভারের কর্মকর্তারা বলেছেন, সার্ভার ডাউন হয়ে যাচ্ছে। তাই টিকিট পেতে একটু সমস্যা হচ্ছে। সার্ভার ডেভেলেপমেন্টের কাজ চলছে।

এছাড়া টিকিট কালোবাজারি হলেই ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে দুদক কর্মকর্তা বলেন, টিকিট কালোবাজারির বিরুদ্ধে আমরা তাদের সতর্ক করেছি। কালোবাজারি হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, আমরা এখানে শুধু অনলাইন টিকিটিং সিস্টেম দেখছি না, সার্বিক দিক দেখছি। সার্বিক দিক বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। পরে বলা যাবে।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষকে স্বস্তি দিতে ট্রেনের অর্ধেক টিকিট অনলাইনে দেয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত ২৮ এপ্রিল ‘রেলসেবা’ একটি অ্যাপ উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

তবে ‘সার্ভারে ত্রুটি’, ‘বিক্রি শুরুর আগেই টিকিট শেষ’, ‘টিকিট না দিয়েই টাকা কেটে রাখা’— প্রতিদিন এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়েতে জমা পড়ছে।

তবে এসব অভিযোগের কোনো সমাধান না করেই বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আজ সকাল ৯টায় সার্ভারে ঢুকতে পারেননি অধিকাংশ গ্রাহক। আর যদিও কোনোভাবে প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে সার্ভার থেকে জানানো হচ্ছে টিকিট নেই। আবার অনেকে টিকিটের জন্য টাকা দিচ্ছেন অথচ টিকিট পাচ্ছেন না। এর পর ৯টা ৩ মিনিটে সিট নির্বাচন করতে গেলে দেখায় কোনো সিট নেই।

ওডি/এআর