অধিকার ডেস্ক ২০ মে ২০১৯, ১৭:০১
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুমান নির্ভর, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।
সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক, উপ-পরিচালকসহ যে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন, তারা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারী। সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে তাদের সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা কমিশন থেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন।
পরমাণু শক্তি কমিশনের ব্যাখ্যায় বলা হয়, সম্প্রতি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে কতিপয় সংবাদপত্র/অনলাইন মিডিয়া/সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুমান নির্ভর ও কাল্পনিক তথ্য সম্বলিত সংবাদ/মতামত/মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেশের সর্ববৃহৎ, উচ্চ প্রযুক্তিঘন এবং স্পর্শকাতর এই প্রকল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়া ছাড়াও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এই বিষয়ে সকল বিভ্রান্তি দূর করতে নিম্নরূপ ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো-
১. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন তারা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারী। সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে তাদের প্রকল্পে সংযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারা বেতন-ভাতা আহরণ করেন কমিশন থেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতনক্রম অনুযায়ী।
২. নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো সমধর্মী অপরাপর পাবলিক কোম্পানির বেতন কাঠামো পর্যালোচনা করে কোম্পানির বোর্ড কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বোর্ডে পরিচালক হিসেবে সরকারের অর্থ বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থার প্রতিনিধি রয়েছেন।
৩. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি), উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি)- কেউই প্রকল্প থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন না। তারা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়মিত কর্মকর্তা এবং তারা কমিশন থেকেই নির্ধারিত স্কেলে বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন। প্রকল্প পরিচালক একই সাথে কোম্পানির এমডি-ও। কোম্পানির এমডি হিসেবে তিনি কোনো বেতন বা ভাতা কোম্পানি থেকে গ্রহণ করেন না। তাছাড়া, একাধিক সংস্থা থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ করার সুযোগ নেই।
৪. কোম্পানিতে এখনও কোনো গাড়িচালক বা বাবুর্চি নিয়োগ করা হয়নি। তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার প্রশ্ন অবান্তর। তবে ভবিষ্যতে নিয়োগ করা হলে কোম্পানির বেতন কাঠামো অনুযায়ী গাড়িচালক এবং বাবুর্চির মাসিক বেতন হবে ভাতাসহ প্রায় ২৪,৪০০ টাকা। প্রকল্পে বর্তমানে যে সকল গাড়িচালক বা বাবুর্চি আছে তারা মাস্টার রোলে দৈনিক ভিত্তিতে মাসে সর্বোচ্চ ১৫,৫০০ টাকা পান। সুতরাং প্রকল্প ও কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সম্পর্কে যে সকল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তা নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত এবং প্রকল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার প্রয়াস।
আশা করা যায়, এ ব্যাখ্যায় কোম্পানি ও প্রকল্পের বেতন-ভাতা বিষয়ে সকল বিভ্রান্তি দূর হবে।
ওডি/এসএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড