নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য এবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনসহ আরও কয়েকটি রেল স্টেশন থেকে ঈদে ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
গত বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর রেল ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এবার যাত্রীদের বিড়ম্বনা দূর করতে আগামী ২২ মে কমলাপুর ছাড়াও তেজগাঁও, বনানী ও বিমানবন্দর স্টেশন এবং ফুলবাড়িয়ার নগর কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। একইসঙ্গে কমলাপুর থেকে পশ্চিমাঞ্চলের অর্থাৎ রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর টিকিট পাওয়া যাবে।’
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজধানীর বিমানবন্দর স্টেশন থেকে বিক্রি করা হবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী গামী ট্রেনের টিকিট। তাছাড়া তেজগাঁও থেকে পাওয়া যাবে ময়মনসিংহ ও জামালপুর রুটের ট্রেনের টিকিট। বনানী থেকে দেওয়া হবে নেত্রকোনা ও মোহনগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট। সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের টিকেট পাওয়া যাবে ফুলবাড়িয়ার পুরাতন রেল ভবন থেকে।’
সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী এও জানিয়েছেন, ‘এবার আগামী ৫ জুন ঈদের দিন হিসাব করে টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা সাজিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। যেখানে ২২ মে বিক্রি করা হবে ৩১ মের টিকিট। ২৩ মে পাওয়া যাবে ১ জুনের টিকিট এবং পরের দিন ২৪ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট। তাছাড়া ২৫ মে বিক্রি হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ৪ জুনের টিকিট দেওয়া হবে আগামী ২৬ মে।
এর আগে গত বছরের ঈদুল ফিতরের সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া মোট ৩১টি আন্তঃনগর ট্রেনে আসন সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৩৪৫টি। যেখানে এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজারে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি হবে এই ২৭ হাজার সিটের অর্ধেক টিকিট। আর বাকি অর্ধেক বিক্রি হবে স্ব-স্ব কাউন্টার থেকে।
রেল সূত্র জানায়, এবারের ঈদ যাত্রায় রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য ট্রেনের ১০ শতাংশ টিকিট আগে থেকেই সংরক্ষিত করে রাখা হয়। এ হিসেবে প্রায় দুই হাজার ৭০০টির বেশি আসন চলে যাবে এই কোটায়। তাছাড়া কাউন্টার থেকে বিক্রি হবে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৮০০টি সিটের টিকিট। যদিও ঈদ যাত্রা শুরুর আগেই এই আসন সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে।
ঈদকে কেন্দ্র করে এর আগের পাঁচ দিন ছয়টি জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর কথা রয়েছে। তাছাড়া রুট স্বাভাবিক রাখতে বন্ধ রাখা হচ্ছে ঢাকা-কলকাতা রুটের ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’। এই ট্রেনটিকে ঈদের সময় ঢাকা-খুলনা রুটে চালানো হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। একইসঙ্গে ঈদের দিন শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে আরও দুই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদ যাত্রায় সারাদেশে ৯২টি আন্তঃনগর ট্রেনের মোট ৭০ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি করা হবে। তাছাড়া লোকাল ও মেইল ট্রেনসহ সর্বমোট প্রতিদিন গড়ে দুই লাখ ৯০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হবে। এবার কালোবাজারি ঠেকাতে ঈদ যাত্রার টিকিট জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে নিতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি স্টেশনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
রেল ভবনে আয়োজিত সেই সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে রেল সচিব মোফাজ্জেল হোসেন ছাড়াও রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড