• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতিকর দিক জানতে চান আদালত

  অধিকার ডেস্ক    ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ২৩:৪৯

মোবাইল টাওয়ার
মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার। (ছবি : সংগৃহীত)

দেশের সকল মোবাইল ফোন কোম্পানিকে তাদের টাওয়ার থেকে নিঃসৃত মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিকিরণের (রেডিয়েশন) বিষয়ে সমীক্ষার মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। যা আগামী চার মাসের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বরাবর দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া ক্ষতিকর রেডিয়েশনের প্রভাব বন্ধে সরকারকে আরও ১১ দফা নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের যৌথ বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রায় দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক। তাছাড়া বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী খোন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

এদিকে রায়ের ১১ দফা নির্দেশনায় বলা হয়-

০১. মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণ মাত্রা নির্ধারিত মাত্রার দশ ভাগের একভাগ করা।

০২. মোবাইল টাওয়ার বাসার ছাদ, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, ক্লিনিক, কারাগার, খেলার মাঠ, জনবসতি এলাকা, হেরিটেজ ও প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকাসহ ইত্যাদি স্থানে না বসানো এবং যেগুলো বসানো হয়েছে, তা অপসারণ।

০৩. বিকিরণ মাত্রা যেন বেশি না হয় সে ব্যাপারে অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ।

০৪. টাওয়ার বসাতে জমি অধিগ্রহণে কোনো বাধা আছে কি-না বা বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ।

০৫. টাওয়ারের বিকিরণ মাত্রা বিটিআরসি ও লাইসেন্সি দুপক্ষকেই স্বাধীনভাবে আইটিইউ এবং আইইসির মান অনুসারে পরিমাপ করা।

০৬. কোনো টাওয়ারের বিকিরণ মাত্রা বেশি হলে তা অপসারণ করে নতুন টাওয়ার বসানো।

০৭. টাওয়ার ভেরিফিকেশন মনিটর পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিটিআরসির দায়-দায়িত্ব বাধ্যতামূলক।

০৮. বিটিআরসি স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং সেল গঠন।

০৯. বিটিআরসিকে অন্যদেরকে নিয়ে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি গঠন। লাইসেন্সকে প্রতি ছয় মাসে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল।

১০. মোবাইল সেটে দৃশ্যমানভাবে এসএআর মান লেখা।

১১. সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সের প্রতিটি রিপোর্ট/রেকর্ড পাঁচ বছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদালতের আদেশ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে আরও গবেষণা করে রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছে।

অপরদিকে মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে মোবাইল ফোন টাওয়ারগুলোর রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব ইস্যুতে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। মূলত এর পরপরই সেই প্রতিবেদনকে সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আদালতে জনস্বার্থে একটি রিট করা হয়। আর সেই রুলের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ সংক্রান্ত রায় প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন :- ইন্দোনেশিয়ার গণমাধ্যমে ‘পেন্সিলে আঁকা’ খালেদার কারা জীবন

রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গণে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আদালত চার মাসের মধ্যে মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশনের বিষয়ে সমীক্ষা প্রতিবেদন দিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পর রেডিয়েশন ছড়ানো টাওয়ার সরাতে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। মূলত এ জন্যই মামলাটি এখন চলমান অবস্থায় রাখা হয়েছে।’

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড