• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মুসলিম উম্মাহর সংবাদ সম্মেলন

বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে ধর্মীয় উৎসব পালনের দাবি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৫১
মুসলিম উম্মাহ
জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুসলিম উম্মাহর সংবাদ সম্মেলন (ছবি : দৈনিক অধিকার)

পৃথিবীর যে কোনো মুসলিম দেশে যদি চাঁদ দেখা যায় তবে সমস্ত উম্মতের জন্য তা জারি হয়ে গেল- ওআইসির এ সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে উন্মুক্ত ও সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এম শমশের আলী বলেছেন, অতীতে কী হয়েছে না হয়েছে সেসব নিয়ে বিতর্ক না করে কুরআন-হাদিস, জ্যোতির্বিজ্ঞানের আলোকে ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন) যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মেনে নেব। আমরা ওআইসির সংজ্ঞা মেনে এখন থেকে সব ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করব, আশা করি প্রধানমন্ত্রীও সে ঘোষণা দেবেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে মুসলিম উম্মাহ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কুরআন ও হাদিসের আলোকে এবং ওআইসি ফিকহ একাডেমির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৃথিবীতে সর্বপ্রথম নতুন চাঁদ দেখা যাওয়ার ভিত্তিতে সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে চন্দ্র মাসের একই তারিখে বাংলাদেশি মুসলিমদের রোজা, লাইলাতুল কদর, আরাফাহ ও দুই ঈদ পালনের দাবিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এসব দাবিতে আগামী রবিবার/সোমবারের দিকে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানান মুসলিম উম্মাহর মহাসচিব ড. এম এ কাশেম ফারুকী।

হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ড. এম শমশের আলী বলেন, ‘একই দিনে তোমরা রোজা রাখবে, একই দিনে তোমরা রোজা ভাঙবে’- এই হাদিসটা আমরা মানছি না। অতীতে ওজর ছিল, এখন একবিংশ শতাব্দীতে আমরা প্রবেশ করেছি। আমরা এখন ওআইসির সঙ্গে একমত হয়ে তাদের সঙ্গে একই দিনে সারা বিশ্বে ধর্মীয় উৎসব পালন করব।

সরকারের উদ্দেশে মুসলিম উম্মাহর সভাপতি মুফতি সাইয়্যেদ আব্দুস ছালাম বলেন, সারা বিশ্বে হিজরি তারিখ একটি হবে। কিন্তু বাংলাদেশে ভিন্ন তারিখ হওয়াতে আমাদের ইবাদত বন্দেগি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চাঁদের মাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইবাদত যেমন রমজানের রোজা, লাইলাতুল কদর, আরাফাহ, আশুরা ও দুই ঈদ বাংলাদেশি মুসলিমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে অভিন্ন তারিখে পালন করতে পারে সে বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত প্রদান করতে দাবি জানান তিনি।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি (অব.) আব্দুর রউফ বলেন, রোজা, ঈদুল আজহা, কুরবানি ও আশুরা আমাদের পূর্ববর্তী দেশ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, ইউরোপ, আমেরিকাসহ সারা বিশ্বের সঙ্গে একই তারিখে হয়। এটাই ওআইসির সিদ্ধান্ত। জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিশেষ অবদানের জন্য উদয়স্থলের কথা আগাম জানা যায়। তারপরও ইন্টারনেট, ফেসবুক ও মোবাইল ইত্যাদি বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে চাঁদ ওঠার শুরুটা জানতে পারি। তাই এখন আর কোনো ওজর নেই।

মুসলিম উম্মাহর সভাপতি মুফতি সাইয়্যেদ আব্দুস ছালামের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. এম এ কাশেম ফারুকীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ওআইসির ফিকহ একাডেমি বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মারুফ।

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুসলিম উম্মাহর সহ সভাপতি এম এ কাইয়ুম। এছাড়া নাসা থেকে সংগৃহীত জ্যোতির্বিজ্ঞান ও কুরআন-হাদিসের আলোকে উপস্থাপনা করেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক সহপ্রধান এয়ার কমডোর (অব.) ড. সৈয়দ জিলানী মাহবুবুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজের সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনামুল হক, কৃষিবিদ গ্রুপের এমডি কৃষিবিদ ড. আলী আফজাল প্রমুখ।

ওডি/এএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড