• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের প্রয়াণ দিবস আজ

  অধিকার ডেস্ক    ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:২৪

ছবি
ছবি : বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল

মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ সরকার চরম সাহসিকতা ও অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় তাদের মধ্যে তিনি একজন। আজ তাঁর ৪৮তম প্রয়াণ দিবস। তিনি ৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার দরুইনে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন।

তিনি ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নাম হাবিবুর রহমান। তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার মোস্তফা কামাল শৈশব থেকেই ছিলেন দুঃসাহসী হিসেবে খ্যাত। পড়াশোনা বেশিদূর করতে পারেননি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর উচ্চ বিদ্যালয়ে দু-এক বছর অধ্যয়ন করেছেন মাত্র। ছেলেবেলা কেটেছে তাঁর পিতার কর্মস্থল কুমিল্লা সেনানিবাসে।

তাঁর বিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার চেয়ে সেনানিবাসের সেনাদের কুচকাওয়াজ, মার্চপাস্ট ইত্যাদি ভাল লাগতো বেশি। ক্রমেই তিনি সেনাবাহিনীর একজন সদস্য হবার স্বপ্ন দেখতে থাকেন এবং স্থির করেন সেনাবাহিনীতে যোগ দিবেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে হঠাৎ করেই মোস্তফা কামাল বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। পরে ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানের চতুর্থ ইস্ট-বেঙ্গল রেজিমেন্টে চাকরি চূড়ান্ত হবার পরে তাঁর বাবা-মা তার সন্ধান পান।

১৯৭১-এর প্রথম দিকে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়। তখন সারাদেশে যুদ্ধের বীভৎসতা ছড়িয়ে পড়ছিল। সেনানিবাসগুলোতে অবস্থা উত্তপ্ত হয়ে উঠে। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে ঘিরে তিনটি প্রতিরক্ষা ঘাঁটি গড়ে তোলে এন্ডারসন খালের পাড়ে। আখাউড়ায় অবস্থিত চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট দক্ষিণ দিক থেকে নিরাপত্তার জন্য দরুইন গ্রামের দুই নম্বর প্লাটুনকে নির্দেশ দেয়। সিপাহী মোস্তফা কামাল ছিলেন দুই নম্বর প্লাটুনে। কর্মতৎপরতার জন্য যুদ্ধের সময় মৌখিকভাবে ল্যান্স নায়েকের দায়িত্ব পান তিনি।

১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তার ৭০ গজের মধ্যে শত্রুপক্ষ চলে এলেও থামেননি তিনি, যুদ্ধ করেছেন বীরবিক্রমের মতো। পালিয়ে যাওয়ার একবিন্দুও চেষ্টা করেননি। এতে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটে যায় এবং নিজের প্রাণ দিয়ে পুরো প্লাটুনকে রক্ষা করেন মোস্তফা কামাল। আখাউড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বাঙালির এই বীর সন্তান। তার এই অসামান্য বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয় তাকে।

তথ্যসূত্র- ইন্টারনেট

ওডি/এসএন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড