এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত

নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি তৃতীয় দিনের মতো শনিবারও (২৩ মার্চ) অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষক নেতারা বলছেন, এবার আমরা কারও আশ্বাস শুনবো না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যতক্ষণ না সাক্ষাৎ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালের দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করলেও পুলিশের বাধার মুখে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষকরা।

অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন বলছে, দেশের নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি করার দাবিতে অনেক দিন ধরে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এ জন্য নতুন কর্মসূচিতে নামতে হয়েছে।

এ বিষয়ে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে অনশনকালে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব এসে আমাদের জানান- প্রধানমন্ত্রী দাবি মেনে নিয়েছেন। অনশন ভেঙে আমাদের ঘরে ফিরে যেতে বলেছেন। এরপর জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীসহ কয়েকজন এসে আমাদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।

অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় আরও বলেন, অগ্রগতি না দেখে তাই বাধ্য হয়ে আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আবারও রাজপথে নেমেছি। আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা করতে চাইলে আমাদের আটকে দেওয়া হয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। তাকে আমরা আমাদের কথা জানাতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

অবস্থান কর্মসূচিতে সারাদেশের ৫ হাজার ২৪২টি নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত হয়েছেন জানা গেছে।

এদিকে টানা তিন দিন সড়কে অবস্থান করার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেক শিক্ষক-কর্মচারী। এছাড়া সড়ক অবরোধ করার কারণে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আশপাশের সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক যানজট।