• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার অন্যতম উপকরণ ইসলামফোবিয়া : আল্লামা শফী 

  অধিকার ডেস্ক    ১৬ মার্চ ২০১৯, ০৪:২৩

আল্লামা শাহ্‌ আহমদ শফী
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ্‌ আহমদ শফী (ছবি : সংগৃহীত)

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে ইতোমধ্যেই ইসলাম বিদ্বেষী আচরণ বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়। আর এই একই অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের অন্যতম ইসলামিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। এ হামলার ঘটনার অন্যতম উপকরণ ছিল ইসলামফোবিয়া বলে উল্লেখ করেছেন সংগঠনটির আমির আল্লামা শাহ্‌ আহমদ শফী।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হেফাজত আমিরের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি ওই ঘটনার জন্য নিন্দা ও শোক প্রকাশ করে এ কথা বলেন।

আল্লামা আহমদ শফী বলেন, শুক্রবার মুসলমানদের পবিত্র দিনে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের কাছের মসজিদ আল নুরে যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে তা বর্বরোচিত। বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় স্তব্ধ ও শোকাহত। আমি এ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

এ হামলায় তিন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন মুসল্লি শহীদ হয়েছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান মসজিদে নামাজরত অবস্থায় এমন কাপুরুষোচিত হামলা মানুষ মাত্রই মেনে নিতে পারে না।

এসময় উগ্র খ্রিস্টান সন্ত্রাসীর হামলায় শহীদ ও হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন আল্লামা শফি।

তিনি নিউজিল্যান্ড সরকারের উদ্দেশ্যে বিবৃতিতে বলেন, এ হামলার অন্যতম উপকরণ ছিল ইসলামফোবিয়া। পশ্চিমাদের মাঝে শান্তির ধর্ম ইসলামকে সন্ত্রাসী ও আগ্রাসি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

ইসলাম বিদ্বেষ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আল্লামা শফি বলেন, আমি মনে করি, আপনার দেশে মুসলমানদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করবেন। তাদের ধর্মপালন ও ধর্মপ্রচারে মহানুভবতার পরিচয় দিবেন এবং ইসলামবিদ্বেষী বই, প্রচারপত্র এবং মিডিয়াভিত্তিক অপপ্রচার বন্ধে সচেষ্ট থাকবেন।

উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদসহ দুটি মসজিদে হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশিও রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৮ বাংলাদেশি। আরও দুজন বাংলাদেশির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম সুফিউর রহমান।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪৮ জন। হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। তাকে উদ্ধৃত করে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডসহ স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে ইসলাম বিদ্বেষী আচরণের দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছে মুসলিম বিশ্বও। ৯/১১ এর পর যেকোনো সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মুসলিমদের উপর দায় চাপিয়ে বিশ্বে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইসলামফোবিয়ার সৃষ্টি করা হয়েছে। যার অন্যতম ফসল এই সন্ত্রাসী হামলা বলে দাবি মুসলিম রাষ্ট্রের।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর এক বার্তায় দুই মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এসব কথা বলেছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড