• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শেবাচিমের ডাস্টবিনে ৩১ মানব ভ্রুণ

৩ সদস্যের কমিটি গঠন, সাময়িক বরখাস্ত চিকিৎসকসহ ২ জন

  অধিকার ডেস্ক    ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:০৯

মানব ভ্রুণ
শেবাচিমের ডাস্টবিনে ৩১ মানব ভ্রুণ উদ্ধারের ঘটনায় ৩ সদস্যের কমিটি গঠন

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পা‌নির ট্যাং‌ক সংলগ্ন ময়লার স্তূপ থেকে ৩১টি অপরিণত শিশুর (ফিটাস) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. খুরশীদ জাহান বেগম ও ওয়ার্ডের নার্স ইনচার্জ জোৎস্না আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. সৈয়দ মাকসুমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, শিক্ষার উপকরণ হিসেবে অপরিণত শিশুর (ফিটাস) মরদেহ ব্যবহৃত হয়। ব্যবহার শেষে সেগুলো একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সমাহিত করার কথা থাকলেও সেটি করা হয়নি বলে ঘটনার ফল ভিন্ন কিছু দাঁড়িয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নবজাতকের মরদেহ সংক্রান্ত এ ঘটনার তদন্তে সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জহিরুল হক মানিককে প্রধান করে তিন সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাদেরকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির বাকি ২ জনের মধ্যে রয়েছেন প্যাথলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাইজুল বাশার ও ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ইমতিয়াজ উদ্দিন।

এর পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গাইনি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. খুরশীদ জাহান বেগম এবং ওয়ার্ডের নার্স ইনচার্জ জোৎস্না আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এর সুপারিশ নামা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে প‌রিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লার স্তুপে এসব মরদেহ উদ্ধার করেন।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল মোদাচ্ছের আলী কবির বলেন, 'রাতে হাসপাতালের পশ্চিম পাশে কেন্দ্রীয় পানির ট্যাংক সংলগ্ন ডাস্টবিনের ময়লা অপসারণ করছিলেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এ সময় ময়লার ভেতরে বালতি ভরা অপরিণত শিশুর মরদেহগুলো দেখতে পান তারা। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, 'অনেক মায়ের অপরিণত বাচ্চা জন্মায়। যা অনেক সময় পরিবারের লোকেরা নিয়ে যায়। আবার অনেকে ফেলে যায়। রেখে যাওয়া বাচ্চাগুলো দিয়ে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস নেয়া হয়। পরে তা কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাটি চাপা দেয়া হয়। কিন্তু বাচ্চাগুলোর মরদেহ মাটি চাপা না দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া হলো কেন সে বিষয়টি আমার জানা নেই।'

ওয়ার্ড মাস্টার আবুল মোদাচ্ছের বলেন, ওখানে ২০ থেকে ২২টি অপরিণত শিশুর মরদেহ রয়েছে। তবে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দাবি মৃতদেহের সংখ্যা ২৫টি। এর বেশিও হতে পারে।

হাসপাতালের পরিচালক এসএম বাকির হোসেন এ ব্যাপারে বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ব্যবহারিক কাজে এসব মরদেহ সংরক্ষণ করা হয়। হাসপাতালে অনেক নারীদের অপরিণত বাচ্চা জন্মায়। সেগুলো ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ব্যবহারিক কাজে লাগে। বিভিন্ন সময় এসব অপরিণত শিশুর মরদেহ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এসব মরদেহ ডাস্টবিনে না ফেলে মাটি চাপা দেয়ার কথা ছিল। ভুলক্রমে এসব মরদেহ ডাস্টবিনে ফেলা হয়েছে। মরদেহগুলো মাটি চাপা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড