• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কুমিল্লায় ১৩ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় ১৪ লক্ষ টাকা দিল মালিকপক্ষ

  মনোয়ার হোসেন, কুমিল্লা

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৫১
কুমিল্লা
টাকাগুলো গ্রহন করেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শেখ শহিদুল ইসলাম

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কয়লাভর্তি ট্রাকের চাপায় ১৩ ঘুমন্ত শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নিহত ও আহত প্রতি পরিবারকে যথাক্রমে ১লক্ষ টাকা ও ৫০হাজার টাকা করে মোট ১৪ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন ব্রিকস মালিক পক্ষ।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের পক্ষে টাকাগুলো গ্রহন করেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শেখ শহিদুল ইসলাম।

জানাযায়, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে কয়লাভর্তি ট্রাকের চাপায় ১৩ ঘুমন্ত শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার মেসার্স কাজী এন্ড কোং এমরান ব্রিকস্ এর মালিক হাজী মো.আবদুর রাজ্জাক মজুমদার ১৩ জন নিহতের জন্য ১৩ লক্ষ টাকা এবং ২ জন আহতের জন্য ৫০ হাজার করে ১ লক্ষ টাকাসহ মোট ১৪ লক্ষ টাকা কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের পক্ষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শেখ শহিদুল ইসলামের কাছে জমা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল, ঘোলপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ, উপজেলা পিআইও কমকর্তা জোবায়ের হাসান,শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলী হায়দার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গত ২৫ জানুয়ারী শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫ টায় উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নে মেসার্স কাজী এন্ড কোং এমরান ব্রিকস্ এ কয়লা ভর্তি ট্রাক (ঢাকামেট্রো-ট-১৬-০১১৪) থেকে কয়লা নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিল শ্রমিকরা। হঠাৎ করে ট্রাকটি উল্টে শ্রমিকদের থাকার ঘরের উপরে পড়ে। এসময় বেশীর ভাগ শ্রমিক ঘুমে থাকার কারণে ঘটনাস্থলে ১৩ শ্রমিক নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের।

নিহতরা হলেন- নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের সুরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৩০), তার ভাই তরুন চন্দ্র রায় (২৫), একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোঃ সেলিম (২৮), অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে দিপু চন্দ্র রায় (১৯), কিশোর চন্দ্র রায়ের ছেলে শংকর চন্দ্র রায় (২১), রাম প্রসাদের ছেলে বিপ্লব (১৯), কামিক্ষার ছেলে অজিত রায় (২০), শিমুল বাড়ী গ্রামের মনোরঞ্জন চন্দ্র রায় (১৯), একই গ্রামের খোকা চন্দ রায়ের ছেলে মৃনাল চন্দ রায় (২১), পাঠানপাড়া গ্রামের নুর আলমের ছেলে মোরসালিন (১৮), একই গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে শামসু (১৮), রাজবাড়ী গ্রামের খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে বিকাশ চন্দ্র রায় (২৮) ও ধলু চন্দ্র রায়ের ছেলে কনেক চন্দ রায় (২৫)।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের পক্ষে আমি ১৪লক্ষ টাকা গ্রহন করেছি। তা এখন নীলফামারী জেলা প্রশাসকের একাউন্ট এ জমা দিবো। ওখানে স্থানীয় সাংসদ ও নীলফামারী জেলা প্রশাসকের মাধ্যামে নিহত প্রতি পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা ও আহত ২ জন পাবে ৫০ হাজার করে ১ লক্ষ টাকা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড