• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

৩ বছর কারাভোগের পর নির্দোষ জাহালমের মুক্তি

  অধিকার ডেস্ক    ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:১৮

জাহালম
দুদকের ৩৩ মামলায় ভুল আসামি জাহালম (ছবি : সংগৃহীত)

বিনা দোষে ৩ বছর কারাভোগের পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন পাটকল শ্রমিক জাহালম। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

এর আগে, রবিবার সোনালী ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে আদালত বলেছেন, ‘কোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে এক মিনিটও কারাগারে রাখার পক্ষে আমরা না। এই ভুল তদন্তে কোনো সিন্ডিকেট জড়িত কি না, সিন্ডিকেট থাকলে কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা চিহ্নিত করে আদালতকে জানাতে হবে। না হলে আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে। এরকম ভুলের দায় দুদক কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।’

রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

কারাগার থেকে বের হয়েই স্বজনদের জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন জাহালম।

জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের চিঠি ঢাকা জজ কোর্ট হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছাতে সময় লেগে যায় রাত ৮ টা। সেখান থেকে সকল প্রকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুক্তির আদেশ কাশিমপুর কারাগারে আসে। এখানকার কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাহালমকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় সালেক নামে এক ব্যক্তির নামে দুদকের দায়ের করা ৩৩ টি মামলার মধ্যে ২৬টিতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পুলিশ ২০১৬ সালে ভুল করে সালেকের পরিবর্তে টাঙ্গাইলের জাহালমকে গ্রেফতার করে। পরবর্তী সময়ে আদালতের রায়ে জাহালম ৩ বছর ধরে সাজা খাটছেন। এ নিয়ে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক ‘স্যার আমি সালেক না, জাহালম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের নজরে আনেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। এরপর রবিরার মধ্যেই জাহালমকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড