• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

তারুণ্যের চোখে বিজয় ৪৭

  অধিকার ডেস্ক    ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৪৪

ছবি
ছবি : মহান বিজয় দিবস ( সংগৃহীত ছবি)

আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। মহান বিজয়ের ৪৭ বছর। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে, তিরিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটা স্বাধীন পতাকা। এই পতাকার লাল বৃত্তে মিশে আছে অনেক মানুষের আত্মত্যাগ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকালে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পৃথিবীর মানচিত্রে যুক্ত হয় বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। বিজয় ৪৭ এ তারুণ্যের চোখে চলুন দেখি-

স্বাধনীতা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা এ বিজয় বাঙালি জাতিকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যেমন, তেমনি খুলে দিয়েছে মুক্তির দুয়ার। এই মুক্তিকে ধরে রাখতে হবে। লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা এ বিজয় কেবলই কাগুজে বিজয় নয়। বিজয় অর্জিত হয়েছে মানেই সবকিছু দাবি ও অধিকার নিশ্চিত হয়ে যায়নি। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লড়াইটা এখনো চলছে। এ লড়াই নিজেদের সাথে, নিজেদেরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াই। প্রতিটি প্রাণ ও প্রকৃতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বিজয়ের দাবি। বিজয় দিবসে সকলকে শুভেচ্ছা।

- কবি ও গল্পকার রবিউল করিম মৃদুল

বিজয়' শব্দেও আনন্দের গাঢ় মিশ্রণ আছে। এই বিজয়ে পেয়েছি স্বাধীন ভূখণ্ড, মানচিত্র এবং লাল-সবুজের নিজস্ব পতাকা। একটি স্বাধীন দেশের কথা ভেবে বুক ফুলিয়ে গর্বের নিঃশ্বাস নিতে পারি। তার জন্য বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। বিজয়, স্বাধীনতা কি এখানেই পূর্ণ? স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা, বাক-স্বাধীনতার জয়লাভ এবং ছোট মন-মানসিকতার গণ্ডি অতিক্রম না করতে পারা পর্যন্ত বলতে পারি না- আমি পূর্ণ স্বাধীন, বিজয়ী।

- কবি ও সম্পাদক আলমগীর ইমন

শহীদ মিনার দেখলে যে অনুভূতি হয় একইরকম বিজয় দিবসের অনুভূতিও আমি ঠিক গুছিয়ে বলতে পারবো না। বুকটা গর্বে ভরে ওঠে। আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই। মনে হয় আমি পারবো। আমি তো বাঙালির সন্তান!

- কবি উদয়ন রাজীব

প্রশ্ন

নিজ চোখে আমি বিজয় দেখিনি কারণ, জন্মই হয়েছে বেশ পরে! অভিধানে বিজয় মানে যা জেনেছি তা যে বাস্তবে মেলে না রে!

ধনী গরীবের এত যে ব্যবধান কেন হয়েছে এ দেশে? মেনে কী সংবিধান! সত্য কথা বলার, সৎ পথে চলার কোনো ব্যবস্থা কি আছে? থাকলে কী পরিমান!

- কবি ডাক্তার র ন্ জু খা ন

বাঙালি জাতি শক্তি ও সাহসে ভরপুর। বাংলার দামাল সন্তানরা দীর্ঘ রক্তস্রোত সাঁতরে ছিনিয়ে এনেছিলো লাল সবুজের পতাকা, বিজয়ের গৌরব। বাঙালির এই গৌরবান্বিত দিনে আমাদের প্রজন্মকে নিতে হবে স্বাধীনতার সঠিক দীক্ষা। আমাদের আছে তারুণ্যের শক্তি, বিজয়ের আনন্দকে শতভাগ করতে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ করতে হবে আমাদেরই। স্বাধীনতার মন্ত্রে শান্তি বয়ে যাক সারা দেশে। গুচে যাক সকল দারিদ্র।সুন্দর হয়ে উঠুক দেশ মাতৃকা। বিজয়ের আনন্দে প্রতিটি ঘর হয়ে উঠুক উৎসবমুখর।

- কবি লুফাইয়্যা শাম্মী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

বিজয়ের দিনে এই চেতনা ধারণ করি যে, পদমর্যাদার দাপট, ব্যক্তিত্বের মিথ্যে অহম এবং সুবিধাবাদী আচরণ না করে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করি।

সকলের দায়িত্ব দেশকে ভালোবাসা। চেতনা-ব্যবসায়ীদের বিনাশ হোক।

মানুষ বাঁচে আশায়, দেশ বাঁচে ভালোবাসায়।

- আবৃত্তিকার শহিদুল ইসলাম পাপ্পু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

দীর্ঘ রুদ্ধশ্বাসের পর ফুসফুসে আনন্দের বাতাস বইবার দিন এই বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে একটি চাওয়া আমার কাছে অর্থাৎ আমার সময়ের ও প্রজন্মের কাছে- সুষ্ঠু ও সুন্দর ইতিহাস। আমাদের ইতিহাস পাঠ যেনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও আবেগ তাড়িত না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। এ পর্যন্ত অধিকাংশ ইতিহাস ব্যক্তিকে ঘিরে রচিত। আমি এবং আমরা চাই ইতিহাস সময়কে ধারণ করবে। সে সময়ের ভেতর যে যে ব্যক্তি আসবে তাদের স্ব স্ব অবস্থানে আমাদের আলোচ্য বিষয়ে থাকবে। সেটা ইতিবাচক ও নেতিবাচক দু-ই হতে পারে। সত্য সুন্দর ইতিহাস এবং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমাদের হাতেই তৈরি হবে। আর একটি বিষয় বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ও সংবিধান যতো বেশি ধারণ করবো, এসব বিষয়ে সচেতন হবো ততোই সমৃদ্ধির পথ প্রসারিত হবে। প্রতিদিনের মতো আজকের এইদিনেও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

- গল্পকার ও লেখক মারুফ কামরুল

সবুজ মাঠে পিতার রক্তের জায়নামাজ পেরিয়ে অর্জন করেছি স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা একদিনের অর্জন নয়। দীর্ঘ দুইশত বছরের সাংস্কৃতিক গোলামী আর অবহেলার শিকল ছিড়ে স্বপ্ন-চূড়ায় পৌঁছাতে ঝরাতে হয়েছে অগণিত রক্ত। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জন করেও আজ আমরা চাপাকান্না নিয়ে পরাধীনতায় বেঁচে আছি। আর চাই না কোনো রক্ত ঝরুক। মানুষের রূপ নিয়ে জন্ম নিয়ে যেন অমানুষ না হই। স্বাধীনতা যেন আমাদের কাছে লজ্জার কারণ না হয়। বিজয় আমাদের প্রাণের আরাধ্য, আমাদের অহংকার।

- কবি সুজন আহসান

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর,এই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে যুদ্ধে জয় লাভ করে বিজয় অর্জন করেছিলাম। এখন দিনটি প্রতি বছর ঘুরে ফিরে আমাদের মাঝে আসে বিজয় দিবস হয়ে,উৎসবে আমেজে হাজার রকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা বিজয় দিবস পালন করি,উদ্দেশ্যে নয় মাসের সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ইতিহাস ধারন,দেশপ্রেম আর দেশাত্মবোধ জাগ্রত করা।

তবে দুঃখের বিষয় এখনকার তরুণ সমাজ বিজয় দিবস আর ভালোবাসা দিবস দুটোকে এক করে ফেলে। বিজয়ের উৎসবে তাদের একটি বিশাল অংশ দেশাত্মবোধক হয় পার্কে,মেলায় প্রেমিক-প্রেমিকার চোখে চোখ রেখে,তাদের উৎসব হয় একে অপরকে ঘিরে।

আমরা তরুণেরা যেকোনো দিবসকেই এখন কেমন করে যেনো ওই একই দিকে নিয়ে যাই, আর লাল-সবুজের ভালোবাসাকে দখল করি জোড়ায় জোড়ায়। প্রত্যাশা জাতি হিসেবে এ অবস্থার উন্নতি হোক আমাদের বিজয় উদযাপন হোক যথাযথ।

- লেখক শারমিন আক্তার সেজ্যোতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড