অধিকার ডেস্ক ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:১৮
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অকুতভয় যোদ্ধা বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ৭১ জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলার দৌলতখান উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাব দেওয়া হয় তাঁকে।
১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন তিনি। মোস্তফা কামালের বাবা হাবিলদার মো. হাবিবুর রহমান ও মা মালেকা বেগম। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। তাঁর স্ত্রীর নাম পিয়ারা বেগম।
মোস্তফা কামাল ছোটবেলা থেকেই ডানপিটে ছিলেন। ছোট থেকেই তার সৈনিক হবার স্বপ্ন ছিল। এতে রাজি হননি তার বাবা হাবিবুর রহমান। হাবিবুর তখনকার সেনাবাহিনীর একজন হাবিলদার ছিলেন। কিন্তু একরোখা আর ডানপিটে স্বভাবের মোস্তফা বাড়ি থেকে পালিয়ে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। প্রথমেই তার পোস্টিং হয় কুমিল্লা সেনানিবাসে। ৭১-এর মার্চের মাঝামাঝি ৪র্থ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল সিপাহি মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ঠেকানোর জন্য আখাউড়ার দরুইন গ্রামে অবস্থান নেয়। ১৮ এপ্রিল সম্মুখযুদ্ধে মেশিনগান চালানো অবস্থায় এক মুক্তিযোদ্ধার বুকে গুলি লাগে। মুহূর্তের মধ্যে মোস্তফা কামাল এগিয়ে এসে চালাতে লাগলেন মেশিনগান। তাঁর গোলাবর্ষণে মারা যায় কয়েক পাকসেনা। একসময় মোস্তফা কামালের গুলি শেষ হয়ে যায়। হঠাৎ করেই একটি গুলি লাগে তাঁর বুকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং শহীদ হন মোস্তফা কামাল।
তার আত্মত্যাগের কারণে সেদিন বেঁচে যায় বাকি মুক্তিযোদ্ধারা। এলাকাবাসী সেখানেই এই বীরকে সমাহিত করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে এই ত্যাগ ও বীরত্বের জন্যই বীরশ্রেষ্ঠের মর্যাদা পেয়েছেন মোস্তফা কামাল।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড