অধিকার ডেস্ক ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:৫০
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও অগ্রগতির জন্যে জামায়াত-ই-ইসলামিকে হুমকি বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান। ইন্ডিয়ানা রাজ্যের এই কংগ্রেসম্যান বাঙালিদের জামায়াত-ই-ইসলামের থেকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও নিরাপদ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশি জনগণের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
কংগ্রেসম্যান জিম ব্যাঙ্কস বুধবার (১২ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে এক আলোচনা সভায় বলেন, 'বাংলাদেশ একটি নবীণ গণতান্ত্রিক দেশ আর এই দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে কিছু মৌলবাদী দল ক্ষমতা দখলে চেষ্টা করছে।'
হাডসন ইন্সটিটিউটের 'স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, এবং ইসলামবাদে বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি আলোচোনা সভার আয়োজন করে, যেখানে একটি প্যানেল বাংলাদেশের রাজনীতি এবং আসন্ন নির্বাচনে নিয়ে আলোচনা করেন।
ছবি : সংগৃহীত
কংগ্রেসম্যান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত ক্রমবর্ধমান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ওই অঞ্চলের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ব দরবারের তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। তবে, জামায়াত-ই-ইসলামির মতো কিছু ইসলামি উগ্রবাদী দল এই উন্নতির জন্য একটি হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।
স্বাগত বক্তব্যে কংগ্রেসম্যান ব্যাংকস বলেন, উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো খ্রিস্টান, হিন্দু ও বৌদ্ধদের মতো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলার শিকার হয়েছেন আধুনিক মুসলিমরাও। জিম সম্প্রতি মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভসে একটি দ্বিদলীয় রিজল্যুশন পরিচিয় করিয়ে দেন।
জিম উগ্রবাদী এই দল নিয়ে বলেন,এই দলটি গণতান্ত্রিক চর্চায় অংশগ্রহণ করা থেকে আধুনিকমনস্ক মানুষ ও সংখ্যালঘুদের বিরত রাখতেই তাদের কন্ঠোস্বর রোধের চেষ্টা করেন। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন আগে বলেছিলেন যে, বিএনপি'তে যদি জামায়াত-ই-ইসলামি অন্তর্ভুক্ত থাকে তাহলে তারা বিএনপি'তে যোগদান করবেন না।
ছবি : সংগৃহীত
মৌলবাদী ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার পুনর্নিশ্চিত করার বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন করা উচিত বলে মনে করেন এই কংগ্রেসম্যান।
বিগত নির্বাচনের কথা স্বরণ করে তিনি পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলিকে এই সহিংস মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলির প্রজনন স্থল বলে ব্যক্ত করেন। যারা সংখ্যালঘু, সংখ্যালঘু-মালিকানাধীন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনা কেন্দ্রে শত শত সহিংস নির্যাতন চালিয়েছে।
জিম ব্যাংকস বলছে, বাংলাদেশ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ যার প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অত্যন্ত ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। পিউ রিসার্সের একটি মতামত জরিপের কথা উদ্ধৃত করে তিনি বলেন,বাংলাদেশের ৭৬ শতাংশ মানুষও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে ইতিবাচক।
২০১৭ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক উন্নতি হয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি সেনাদের প্রশিক্ষণে ৩৬ লাখ ডলার সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় তিনি জাতিসংঘে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
যুক্তরাষ্ট্র চায় একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন হোক এবং সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত হোক। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের দিকে পুরো বিশ্ব তাকিয়ে আছে।
রাষ্ট্রদূত হোসেন হাক্কানি (বামে), লিবার্টি সাউথ এশিয়ায় সেথ ওল্ডমিক্সন (ওপরে) ও মিডল ইস্ট ফোরামের স্যাম ওয়েস্ট্রপ (নিচে)। ছবি : সংগৃহীত
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, লিবার্টি সাউথ এশিয়ায় সেথ ওল্ডমিক্সন, মিডল ইস্ট ফোরামের স্যাম ওয়েস্ট্রপ এবং সন্ত্রাসবাদের তদন্তকারী প্রকল্পের আভা শঙ্কর অন্তর্ভুক্ত। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া প্রোগ্রামিংয়ের হডসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক রাষ্ট্রদূত হোসেন হাক্কানি এই আলচনা সভার আয়োজন করেছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড