এখনো ঢাকা ছাড়ছেন লোকজন, ফিরছেন চাকরিজীবীরা

ইদের ছুটি শেষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। কেউ বাস, কেউ ট্রাক আবার কেউবা ফিরছেন মাইক্রোবাসে করে। তবে, ঢাকায় যে পরিমাণ মানুষ ফিরছে তার চেয়েও বেশি মানুষ ঢাকা থেকে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে।

যাত্রী এবং পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ইদে লম্বা ছুটির কারণে এখনো ঢাকায় সেই পরিমাণ মানুষ ঢুকছে না। এদিকে ঈদে যানজটের কথা চিন্তা করে ঢাকায় ঈদ করা মানুষগুলো এবার এলাকায় যাচ্ছে।

আজ রবিবার (২ জুলাই) সকালে রাজধানীর মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকায় ফিরে আসাদের অনেকেই পরিবার নিয়ে ফিরছে। কেউ কেউ সমবয়সীদের সঙ্গে কেউবা একাই আসছে। কর্মব্যস্ত এসব মানুষের যেন সময় নেই। কত দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সেই তাড়া দেখা গেল সবার মাঝে। যাত্রাপথে ভোগান্তি হলেও পরিবারের সঙ্গে ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করে কর্মক্ষেত্র ঢাকায় ফিরতে পেরে বেশ খুশি তারা।

কিশোরগঞ্জগামী অনন্যা পরিবহন কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। তাদের প্রত্যেকেই ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ ফিরছেন। পরিবহনটির টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরত রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইদের ছুটি এখনো অবশিষ্ট থাকায় ঢাকার মানুষ কম ঢুকছে। কিছু কিছু মানুষ ফিরলেও লড়াইয়ে ঢাকা থেকে যাওয়ার সংখ্যাটা তুলনামূলক বেশি।

কিশোরগঞ্জগামী উজান ভাটি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঢাকায় আসার পরিবর্তে এখনো অসংখ্য মানুষ ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাচ্ছে। ইদের ছুটি কবে থেকে শেষ আমি জানি না, তবে মনে হয় ছুটি শেষ হলে সবাই ফিরে আসবে।

ইদের তৃতীয় দিনে ঢাকা থেকে জামালপুর যাচ্ছেন সানী রিয়েলএস্টেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সফিরউদ্দন। তিনি বলেন, ইদের আগে জামালপুর রোডে প্রচুর যানজট হয়, তাই ইদ ঢাকায় করেছি। এখন রাস্তাঘাট ফ্রি হয়েছে, তাই বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু কাউন্টার এসে দেখি প্রচুর মানুষের ভিড়।

তিনি আরও বলেন, যে সময়ে কাউন্টার এসেছি, অনেক দূর চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু এনা পরিবহনের গাড়ির এখনো সিরিয়ালে আছি ৩৭ নম্বরের। কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে আরও আধা ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। আশা করছি এখন রাস্তাঘাট ফ্রি থাকবে সহজেই বাড়ি ফিরতে পারব।

তিনি বলেন, আমাদের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, সকল কর্মীদের আমরা ৫ তারিখ পর্যন্ত ছুটি দিয়েছি। আশা করছি সে সময়ের মধ্যে ঢাকায় ফিরে আসব।

পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা এখন ঢাকা ছাড়ছে, তাদের অধিকাংশই বাসা-বাড়িতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তারা ঢাকায় ঈদ করেছে এবং কুরবানির মাংস সংগ্রহ শেষে এবার বাড়ি ফিরছে।

এদিকে রাজধানীতে ফেরা অনেকের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। অধিকাংশই জানান, পথে কিছুটা ভোগান্তি হলেও নিরাপদে কর্মস্থল ও গন্তব্যে ফেরাই তাদের মূল চ্যালেঞ্জ ছিল। এখানে তারা জয়ী। তবে সবাই যে ছুটি বা আনন্দ করতে গিয়েছিলেন এমন নয়। অনেকেই জরুরি প্রয়োজনেও ইদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন। আবার কেউ কেউ ঢাকায় অসুস্থ আত্মীয়ের সেবার জন্য রাজধানীতে প্রবেশ করছেন।