• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

বিপর্যয়ের মুখে গোটা দেশ

  রিপন দাস, পটুয়াখালী

০৫ জুন ২০২৩, ১৬:০২
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (ছবি : অধিকার)

কয়লা সংকটে আজ সোমবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে বন্ধ করা হলো দেশের বৃহত্তম কয়লা ভিত্তিক পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ডলার সংকটের কারণে কয়লার মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় কয়লা সংকটে গত ২৫ মে থেকে বন্ধ রয়েছিল এর প্রথম ইউনিট। যদিও আজ পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করল পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ।

ডলার সংকটে কয়লার দাম পরিশোধ করতে না পারায় সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। তবে আগামী ২০-২৫ দিনের জন্য বন্ধ থাকতে পারে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এরপরই কয়লা সংকট কাটিয়ে উৎপাদনে ফিরবে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব এমনটাই জানিয়েছেন।

এরপর কবে কয়লা আসবে ও উৎপাদনে যাওয়া যাবে প্রসঙ্গে কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এতে নতুন করে কয়লা সরবরাহ করতে পারবেন তারা।

তিনি আরও বলেন, দু-এক দিনের মধ্যেই এলসি খোলা হবে। তবে এলসি খোলার পরেও কয়লা আসতে অন্তত ২০-২৫ দিন সময় লাগবে। এ সময় বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এরপর কয়লা এলে জুনের শেষ সপ্তাহে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বর্তমান পাওনা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কিছু টাকা পরিশোধ করেছে, যা দিয়ে প্ল্যান্ট চালিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। তবে ডলার সংকট থাকায় টাকা ডলারে কনভার্ট করতে না পারায় এলসি খোলা যাচ্ছিল না, আর এ কারণে কয়লা আমদানি সম্ভব হচ্ছে না।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দেয় চীনা অংশীদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি)। এপ্রিল মাস পর্যন্ত বকেয়া বিল দাড়ায় প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন ডলার। এ বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে।

এ দিকে চলমান তাপদাহে সৃষ্ট তীব্র গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ে নাকাল জনজীবন। এরই মধ্যে ৩ থেকে ৫ জুনের পর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ লোডশেডিং হতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ মে থেকে পায়রা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে। ওই বছরের ডিসেম্বরে প্ল্যান্টটির দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করে।

যদিও বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করলেও সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় দীর্ঘদিন একটি ইউনিট অলস বসে ছিল।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো কেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে পুরোপুরি বন্ধ করতে হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড