সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ওমরাহযাত্রীদের ১৮ জনই বাংলাদেশি
বিশেষ প্রতিবেদক
মুসলমানদের তীর্থস্থান খ্যাত মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্র সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ ওমরাহযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ এ ঘটনায় ২৯ জন আহত হন। যদিও মর্মান্তিক ওই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৮ জনই বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১৬ জন।
বুধবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবে যে বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে সেটিতে প্রায় অর্ধশত যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জনই ছিলেন বাংলাদেশি। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এরই মধ্যে নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নিহত ১৮ বাংলাদেশি হলেন- গাজীপুরের টঙ্গীর মো. ইমাম হোসাইন রনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার রুকু মিয়া, কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া ও রাসেল মোল্লা, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শাহীদুল ইসলাম, নোয়াখালীর মো. হেলাল উদ্দিন, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ ও শাফাতুল ইসলাম, কক্সবাজারের রামুর মো. হোসাইন এবং যশোরের কোতয়ালীর মো. নজরুল ইসলাম।
এছাড়াও এ তালিকায় রয়েছে- রুহুল আমিন, খাইরুল ইসলাম, মিরাজ হোসাইন, সাকিব, তুষার মজুমদার, রানা মিয়ার নাম।
এ দিকে সৌদি আরবের আল-এখবারিয়া টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, সোমবার মক্কায় ওমরাহ পালনের জন্য যাওয়ার সময় দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে একটি সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষে বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চ্যানেলটি নির্দিষ্ট সমস্যার কথা উল্লেখ না করে জানায় দুর্ঘটনা কবলিত ‘গাড়ির সমস্যা’ হয়েছিল।
অপর দিকে সৌদির বেসরকারি সংবাদপত্র ওকাজ বলছে, দুর্ঘটনাটি বাসের ব্রেকের সমস্যার কারণে হয়েছে। এর ফলে বাসটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়।
আসির প্রদেশের ঘটনাটি ইসলামের পবিত্রতম শহর মক্কা ও মদিনায় নিরাপদে যাওয়ার বিষয়টিকে কার্যত চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে। রমজানে বহু মানুষ ওমরাহ করতে মক্কায় যাচ্ছেন এবং হজের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি, এমন সময়ে এ ঘটনা ঘটল।
এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে মদিনার কাছে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছিলেন।
