• বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯  |   ২৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘২০৬০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৭০% শহরে পরিণত হবে’

  গবি প্রতিনিধি

৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪১
‘২০৬০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৭০% শহরে পরিণত হবে’
বাংলাদেশের শহরাঞ্চল (ফাইল ছবি)

২০৬০ সালের মধ্যে বাংলাদেশর ৭০% শহরে পরিণত হবে। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর মাল্টিডিসিপ্লিনারী রিসার্চ আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশ : আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপর, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে এমনটিই মন্তব্য করেন গবেষক ড. আহসান উদ্দিন আহমেদ।

গতকাল রবিবার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবনের ৪১৭নং কক্ষে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কেউ মুক্ত নয়। তাই আমাদের সবাইকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে। প্রতি বছর বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কৃষি জমি তলিয়ে যাওয়ায় কৃষি খাতের ক্ষতি হয়। এ জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে বাধ নির্মাণ করা হয়।

তার মতে, জলবায়ু পরিবর্তন অর্থনীতির সাথে বিশদভাবে জড়িয়ে আছে। পরিসংখ্যান থেকে একটা বিষয় লক্ষণীয়, যে বছর গুলোতে বন্যা হয়েছিলো সে বছর গুলোতে জিডিপি ব্যাপকভাবে ভাবে কমে যায়। কারণ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়।

ড. আহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের আরও কিছু কারণ রয়েছে যেগুলো হলো অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নদী ভরাট, কার্বনের অত্যধিক ব্যবহার এবং অপচয়। ২০৬০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৭০% শহরে পরিণত হবে। এত বড় একটি অংশের মানুষকে সঠিক পরিকল্পনায় ব্যবস্থাপনা করতে না পারলে আর্থসামাজিক দিক দিয়ে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো। সাথে কার্বনের ব্যবহার সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন আমাদের নতুন প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বনের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা। প্রয়োজনে পাঠ্যপুস্তকে বিষয়গুলো যুক্ত করা।

সভায় রেজিস্টার কৃষিবিদ এস তাসাদ্দেক আহমেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে প্রধান ভুক্তভোগী হলো কৃষিক্ষাত। আমরা বিভিন্ন সময় দেখি বন্যায় সব ডুবে যায় ফলে ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি। এ জন্য কৃষি ক্ষাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

বর্তমানে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের কারণে আমরা খাদ্য আমদানি করি। এ থেকে বের হয়ে আসতে কৃষি সহ সব সেক্টরে গবেষণা বাড়ানো দরকার। আমাদের হতাশ হলে হবে না। আমাদের কৃষকদের কৃষি জ্ঞানের অভাব, এজন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ হচ্ছে। গভীর পানিতে এবং খরায় যাতে ধান টিকে থাকতে পারে সে গবেষণা করা হচ্ছে।

সভাপতিত্বর বক্তব্যে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন বন্যাতে নদীর গতি পথের পরিবর্তন করায় ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। মানুষ তার প্রয়োজনে যে কার্বনের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ জন্য তিনি শিক্ষকদের আরও বেশি গবেষণায় মনোযোগী হতে বলেছেন এবং সচেতনতা বাড়াতে বলেছেন।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন অনুষদের ডীন ও বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষকবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ড. আহসান উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যের ক্লার্কসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি শেষ করেন। ১৯৯২ সালে দেশে ফিরে আসার পর থেকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গবেষণা করছেন। আইপিসিসি-র সদস্য হিসেবে (১৯৯৬-২০১৬) একাধারে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম এ্যসেসমেন্ট প্রতিবেদনে কাজ করেছেন।

‘বৈশ্বিক পরিবেশগত পরিবর্তন’ বিষয়ে বিভিন্ন শীর্ষ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক গবেষণা গ্ৰুপে কাজ এবং সর্বশেষ, গ্ৰীণ ক্লাইমেট ফান্ডের গঠন পর্ব থেকে এখনো পর্যন্ত সংস্থার স্বাধীন কারিগরি পরামর্শক প্যানেলের সদস্য হিসেবে কর্মরত। এ যাবৎ নব্বইটির উপর কারিগরি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। ত্রিশটির উপর গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন বইতে ঠাঁই পেয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড