নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল তাণ্ডব চলাকালে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে হোয়াইট হাউসে ‘হোয়াইট হাউস গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট : অ্যান্ডিং দ্যা প্যানডেমিক অ্যান্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার হেলথ সিকিউরিটি’ শীর্ষক কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মূলত সেখানে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কার্যকরভাবে বিশ্বব্যাপী টিকা দেওয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলো ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা প্রয়োজন।
এর আগে একই দিন বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল এ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজের ভাষণে কোভিড-১৯ মহামারি নিরসনে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার জন্য রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যবসায়ী এবং বেসরকারি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন- জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিকা লাভের সার্বজনীন অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে সক্ষমতা রয়েছে, এমন উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাধ্যমে টিকার স্থানীয় উৎপাদনের সুযোগ দেওয়া উচিৎ।
আরও পড়ুন : ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা গায়েব
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনধাপ পন্থা অবলম্বন করেছে। প্রথমত- জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, সুবিধা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং সম্পদ বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে আমাদের নাগরিকদের, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা সুরক্ষায় সহায়তা দেওয়া এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ পুনরুদ্ধার করা। আমরা প্রথমে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং সামাজিক সুরক্ষা নেট কর্মসূচির ওপর দৃষ্টি দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নীতির দিকে মনোনিবেশ করছি।
বাংলাদেশের সরকার প্রধান আরও বলেন, সরকার দ্বিতীয়ত- টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে। যেখানে কর্মসংস্থান, উদ্ভাবন এবং বিনিয়োগের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং কম কার্বন নিঃসরণের দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবিলার সরকারি উদ্যোগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ বরাদ্দ করেছি। বয়স্ক, দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বিধবা এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীসহ ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন সুবিধাভোগীদের ১৬৬ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করেছি। ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘এই দশক সিদ্ধান্ত গ্রহণের’
২০২২ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ লোককে টিকা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি বলে সম্মেলনে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড