প্রাপ্ত সম্মাননা বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করলেন শেখ হাসিনা

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে দূরদর্শী ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ইন্টার প্রেস সার্ভিসের ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ এবং গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ সম্মাননা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার পর আলাদা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার দুটি তুলে দেওয়া হয়। সম্মাননা দু’টি তিনি বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করে তিনি বলেন, ‘সব দেশেরই নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাড়ানো উচিৎ।’

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে ‘নজির স্থাপন করায়’ শেখ হাসিনাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে ইন্টার প্রেস সার্ভিস।

এর আগে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ও বুট্রোস বুট্রোস-ঘালি এবং ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মার্তি আহতিসারি এ পুরস্কার পেয়েছেন।

অপরদিকে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে ‘গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন’ শেখ হাসিনাকে দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ সম্মাননা দিয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে রাখাইন রাজ্যে গত বছরের ২৫ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত ইন্টার প্রেস সার্ভিসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহা পরিচালক উইলিয়াম লুসি সুইং।

রাতে নিউ ইয়র্কের পার্ক এভিনিউয়ে আরেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। কোয়ালিশনের সম্মানীয় প্রেসিডেন্ট ইরিনা বোকোভা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদু ইসুফু, তিউনেসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি সাইদ এসেবসি এবং গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসও এই পুরস্কার পেয়েছেন।

দুই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ আহমেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।