• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

স্বপ্নবাজ মেয়র আনিসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৪৩
স্বপ্নবাজ মেয়র আনিসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের ছবি (ছবি : সংগৃহীত)

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রথম নির্বাচিত মেয়র আনিসুল হকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার (৩০ নভেম্বর)। দিবসটি উপলক্ষে তার পরিবারের পাশাপাশি ডিএনসিসির পক্ষ থেকে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিবসটি উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে মেয়র আনিসুল হকের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। বাদ জোহর গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনে (লেভেল ৮) মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, করোনার কারণে এ বছর একটু ব্যতিক্রমভাবে বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। এর পরেও নগরীর বিভিন্ন এতিমখানায় দুই হাজার এতিমের জন্য খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতেও বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ করা হবে। সেখানে কয়েকটি মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে লন্ডনে যান আনিসুল হক। সেখানে তিনি সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে (মস্তিষ্কের রক্তনালির প্রদাহ) আক্রান্ত হন। ১৩ আগস্ট তাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্বপ্নবাজ এই মেয়র।

আরও পড়ুন : এবার সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রোতে উত্তেজনা : রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার

রাজনীতিতে কোনো দলে নাম না লেখানো আনিসুল হক ২০১৫ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ডিএনসিসির মেয়র নির্বাচিত হন। রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও ‘স্মার্ট’ নগরী হিসেবে গড়ে তোলার বেশকিছু উদ্যোগ নিয়ে আলোচিত ও প্রশংসিত হন তিনি।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনালের সামনের সড়ক দখলমুক্ত করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ চালকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। পরে তার নেতৃত্বে ডিএনসিসি ওই সড়ক দখলমুক্ত করে। এ ঘটনায় তিনি রাতারাতি দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পান।

এছাড়া মেয়র নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মধ্যেই তিনি ঢাকা শহর থেকে সব বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেন, যা সাধারণ নগরবাসীর কাছে ছিল অবিশ্বাস্য। শ্যামলী থেকে গাবতলী পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবহনের গাড়ি রাস্তা দখলে রাখতো। ফলে এ পথে মানুষকে দীর্ঘসময় যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ঘোষণা দিয়েই তিনি শ্যামলী থেকে গাবতলী পর্যন্ত রাস্তা গতিশীল করে তোলেন।

আরও পড়ুন : নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয়ের কারণ জানালেন ইমরান খান

বিভিন্ন এলাকার পার্কগুলো দখলদারদের কাছে চলে গিয়েছিল। আনিসুল হক একের পর এক সেসব পার্ক দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করেন। শহরের পথচারীদের জন্য আধুনিক টয়লেট নির্মাণ করেন। এজন্য মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি হয় আনিসুল হককে ঘিরে।

গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় বিশেষ রঙের রিকশা এবং ‘ঢাকা চাকা’ নামে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসসেবা চালু করেন আনিসুল হক। বিমানবন্দর সড়কে যানজট কমাতে মহাখালী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কে ইউলুপ করার উদ্যোগ নেন তিনি।

আরও পড়ুন : ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত তুরস্কের

এছাড়াও ঢাকার খালগুলো উদ্ধারে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন আনিসুল হক। তার নির্দেশে বনানীর ২৭ নম্বরে যুদ্ধাপরাধী মোনায়েম খানের বাড়ি ‘বাগ এ মোনয়েম’ এর অবৈধ দখলে থাকা অংশ উদ্ধার করে সড়ক প্রশস্ত করা হয় তার উদ্যোগে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড