অধিকার ডেস্ক
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শরীয়তপুর ও ঢাকা জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
আর কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। এছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশন সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতিও স্থিতিশীল থাকতে পারে।
রবিবার (২ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য জানায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তারা আরও বলছে, যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। তবে তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমা শুরু করতে পারে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থিতিশীল আছে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কমতে পারে।
এদিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উজান মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। রাজধানীর আশপাশের নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
পর্যবেক্ষণাধীন ১০১টি পানি স্টেশনের মধ্যে ৩৪টির পানি বাড়ছে, ৬৬টির কমছে ও অপরিবর্তিত রয়েছে একটির। বন্যা আক্রান্ত ১৭টি জেলা। বিপৎসীমার উপরে রয়েছে ১৯টি নদীর পানি এবং ২৭টি স্টেশনে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এবার করোনা ও বানের পানিতে ঈদের আনন্দ ভেসে গেছে কৃষকের। একের পর এক দুর্যোগে নিঃস্ব হয়েছেন দেশের অনেক কৃষক। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথমে করোনা, এরপর সুপার সাইক্লোন আমফান, কালবৈশাখী, অতিবৃষ্টি ও সর্বশেষ বন্যার কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।
এতে অনেক কৃষকের আউশ ধান, আমনের বীজতলা এবং সবজি ক্ষেত বানের পানিতে ভেসে গেছে। অনেকের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল নিয়েও অনেকে বিপদে আছেন।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে অনিশ্চয়তার মেঘ
এর আগে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছিল, ২০০৪ সালের পর দেশে এত দীর্ঘসময় ধরে আর কখনও বন্যা ছিল না।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেছিলেন, ‘২০০৪ সালে এ রকম দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হয়েছিল ১৯৯৮ ও ১৯৮৮ সালে। এরপর এত দীর্ঘমেয়াদি বন্যা ছিল না।’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড