ভারত থেকে শেষ বিশেষ ফ্লাইটে ফিরলেন ১১২ বাংলাদেশি

করোনার কারণে আটকে পড়া ভারতের চেন্নাই থেকে শেষ বিশেষ ফ্লাইটে আরও ১১২ বাংলাদেশি ফিরেছেন।

বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত আনার চূড়ান্ত পর্যায়ে বুধবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা দেশে ফিরেন।

নয়াদিল্লি-বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ নিয়ে ভারতের বিভিন্ন শহর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সসহ বিভিন্ন বিমান সংস্থার মোট ৩৮টি বিশেষ ফ্লাইটে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বাংলাদেশি আকাশপথে দেশে ফিরেন। দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও কলকাতা থেকে এ ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হয়েছে।

গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিভিন্ন দেশে আরোপিত লকডাউনে অন্যান্য দেশের মতো অনেক বাংলাদেশি রোগী, ছাত্র ও পর্যটক ভারতে আটকে পড়েন। নয়াদিল্লি বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে এ বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার দ্রুততম সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

উল্লেখ্য, চেন্নাই-ঢাকা রুটে গত ২০ এপ্রিল পরিচালিত ফ্লাইটটি চলমান মহামারী সময়ে বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে পরিচালিত প্রথম ফ্লাইট।

আকাশপথের পাশাপাশি সড়কপথেও অনেক বাংলাদেশি ফিরেছেন। লকডাউন চলাকালে গত মে ও জুন মাসে সীমান্ত হতে ভারতের দূরবর্তী রাজ্য তামিলনাড়ু, গুজরাট, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ থেকে প্রায় ৫০টি বাসে সহস্রাধিক বাংলাদেশি দেশে ফিরেন।

এ ছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনগুলোর সহযোগিতায় আরও কয়েক হাজার বাংলাদেশি ফিরেছেন। ভারত থেকে লকডাউন চলাকালীন বাংলাদেশে ফিরেছেন মোট ৮ (আট) সহস্রাধিক।

নয়াদিল্লি-বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের যে নাগরিকরা নানা প্রয়োজনে এখনও ভারতের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন তাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ভারতে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ও অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম সীমিত আকারে চালু রয়েছে। আগ্রহী যাত্রীরা এ সব যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে স্থলসীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যেতে পারেন। অভ্যন্তরীণ এ ধরনের যাত্রার পূর্বে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স বা রাজ্যগুলোর নির্দেশমালা অনুসরণ করুন। বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরার জন্য বাংলাদেশের সব স্থলবন্দরগুলো উন্মুক্ত রয়েছে। তবে ভারতীয় স্থলবন্দরগুলো যাতায়াত সংক্রান্ত ভিন্নরূপ নির্দেশনা থাকতে পারে। ভিসায় উল্লিখিত ভারতীয় স্থলবন্দর সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণ এবং এ ধরনের যাত্রার পূর্বে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় স্থলবন্দর খোলা রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

যে বাংলাদেশিদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তারা নিকটস্থ বাংলাদেশ মিশনে (নয়াদিল্লি/ মুম্বাই/কলকাতা/গুয়াহাটি/আগরতলা) যোগাযোগ করে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করতে পারেন। নয়াদিল্লি বাংলাদেশ মিশনে পাসপোর্ট নবায়ন বা জরুরি ট্রাভেল পারমিট সংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগের জন্য ই-মেইল [email protected] ঠিকানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরও বলা হয়, যাদের ভারতীয় ভিসার মেয়াদ/এককালীন (যেমন একবারে ৯০ দিন পর্যন্ত) অবস্থান সংক্রান্ত শর্ত শেষ হয়ে গেছে তারা ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি বা exit permit-এর জন্য অনলাইনে FRRO (Foreigners Regional Registration Office)-এর ওয়েবসাইটে আবেদন করতে বলা হয়েছে। দেশে প্রত্যাবর্তনের সময় exit permit বা আবেদনের কপি সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে নিম্নোক্ত ওয়েব লিংকের নির্দেশনা অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়।