• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গ্রামে ব্যাংক থাকলেও নেই কাঙ্ক্ষিত সেবা

  অধিকার ডেস্ক    ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৩:১৯

আরও একটি ব্যাংক তফসিলভুক্ত হওয়ায় ৫৮টি ব্যাংকের শাখার সংখ্যা অতিক্রম করল ১০ হাজারের মাইলফলক। চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকের শাখা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১১৪টি। তবে ব্যাংকের শাখার সংখ্যা এত বাড়লেও বাড়েনি সুযোগ সুবিধা। কাঙ্ক্ষিত ব্যাংকিং সেবা মিলছে না গ্রামাঞ্চলের মানুষের।

গত বছরের জুনে শাখা ছিল ৯ হাজার ৭২৪টি। এক বছরে নতুন শাখা খোলা হয়েছে ৩৯০টি। গত বছরের জুনে ব্যাংকগুলোর শহুরে শাখা ছিল ৪ হাজার ২২৩টি। বাকি ৫ হাজার ৫০১টি ছিল গ্রামে বলে জানা যায় বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে।

চলতি বছরের জুনে ব্যাংকের গ্রামের শাখার সংখ্যা ৫ হাজার ২২৪টি। আর শহুরে শাখার সংখ্যা ৪ হাজার ৮৯০টি। অর্থাৎ শহরের চেয়ে গ্রামের শাখার সংখ্যা বেশি। সূত্র জানায়, বেশ কয়েকটি উপজেলায় পৌরসভা গঠিত হওয়ায় সেখানকার শাখাগুলোকে শহুরে হিসেবে দেখানো হয়েছে। ফলে কাগজে-কলমে এ বছর গ্রামীণ শাখার সংখ্যা কমে গেছে।

একটি শাখা শহরে খুললে গ্রামেও একটি শাখা খুলতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী। ব্যাংকগুলো এ নিয়ম মেনেই শাখা খুলছে। তবে নিয়ম মানার ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। শহরের উপকণ্ঠে শাখা খুলে তাকে গ্রামের শাখা বলে দেখানো হচ্ছে। ওই শাখা থেকে শিল্প ও শহরের মানুষদেরই সেবা দেওয়া হচ্ছে। ফলে মোট শাখার অর্ধেক গ্রামে হলেও গ্রামের মানুষরা ঋণ পেয়েছেন অতিসামান্য।

গত অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ হিসেবে ব্যাংকগুলো ২১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। অথচ গত অর্থবছরে ব্যাংকগুলো ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। মোট ঋণের মাত্র ১৬ শতাংশ পেয়েছে গ্রামের মানুষ। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষক। কিন্তু কৃষকদের ৭৫ শতাংশই কোনো ব্যাংক ঋণ পাননি। আবার যে ২৫ শতাংশ পেয়েছেন, তার ৭৫ শতাংশ নিয়েছেন বিভিন্ন এনজিও থেকে।

২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা। ঋণ বিতরণের মতো আমানত সংগ্রহেও গ্রামের দিকে নজর নেই ব্যাংকগুলোর। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলের শাখা থেকে মাত্র ২০ শতাংশ বা দুই লাখ ২ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি ৮০ শতাংশই সংগ্রহ করা হয়েছে শহর থেকে। ঋণের পরিমাণ ৭ লাখ ৯২ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৮৪ হাজার কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১১ শতাংশেরও কম।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকের আরও শাখা বৃদ্ধির পক্ষে সরকার। এ জন্য সরকার আরও নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়ার পক্ষে। ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে সমালোচনা থাকলেও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বরাবরই বলে আসছেন, ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়–ক। কেননা এখনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ব্যাংকিং সেবার আওতায় আসেনি। এজন্য ব্যাংকের শাখা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড