• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ভার্চুয়াল জগতে অশালীন কথাবার্তা আর অঙ্গভঙ্গি- আনন্দ নাকি অপপ্রচার?

  অধিকার ডেস্ক    ১৪ আগস্ট ২০১৮, ০৯:২৩

সেফাতুল্লাহ এবং আসাদ পং-পং

ভার্চুয়াল জগতে নিজেকে প্রকাশ করা খুব সহজ। ইচ্ছেমত নিজের মনের কথা বলতে পারা যায়। আর যদি কথা বলার ভঙ্গিতে কিছু অসঙ্গতি দেখা যায় তাহলে সেই ভিডিও আরও বেশি ভাইরাল হয়ে যায়। বর্তমানে এই ভার্চুয়াল জগতে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি আর অশ্লীল কথাবার্তা বলা যেন আনন্দের খোরাক হয়ে দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশে আইসিটি আইন থাকায় অনেকেই স্যোশাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক সমালোচনা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। কিন্তু অনেকে দেশের বাইরে থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নামে ইউটিউবে অশালীন কথাবার্তা ছড়াচ্ছেন। আর এটি বাংলাদেশের কিছু মানুষ আনন্দ হিসেবে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

অশ্লীল কথাবার্তা ছড়ানোতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত এবং সমালোচিত ব্যক্তির নাম সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদা। অদ্ভুত এবং কিম্ভুতকিমাকার ভঙ্গিতে তিনি ইতোমধ্যেই ভার্চুয়াল জগতে বেশ কিছু অশ্লীল আর বেপরোয়া কথাবার্তা ছড়িয়েছেন। অস্ট্রিয়া প্রবাসী এই বাংলাদেশির এমন কর্মকাণ্ডে দেশের কিছু মানুষ আনন্দের খোরাক খুঁজে পেলেও বিব্রত অবস্থায় পড়েছে তার পরিবার। তার স্ত্রী জানিয়েছেন, মানসিক রোগে আক্রান্ত সেফাত ২৮ বছর আগে দেশ ছাড়েন। তার এহেন কাজে তার পরিবারের সবাই বেশ বিব্রত। তার এ সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ করা যায় কিনা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

সেফাতুল্লাহর এসব ভিডিও দেখে অনেকেই যেমন আনন্দের খোরাক খুঁজছেন তেমনি অনেকেই বলছেন এ ধরনের চর্চা মানুষের শ্রেয়বোধ ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ফেসবুক ট্রলের একটি বড় অংশ জুড়ে এখন কথিত সেফুদার আধিপত্য। তার মত আরও কিছু মানুষ ইদানীং এমন ভিডিও ছড়াচ্ছে।

কিছুদিন আগে আসাদ পং-পং নামেও এক মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশেই এমন বেপরোয়া ও অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাংলাদেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় তাকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়া পুলিশ।

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বলছেন, দেশের বাইরে বসে যারা দেশ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে সরকার শীগগির ইন্টারনেটে আড়ি পাতার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ফেসবুক এবং ইউটিউবে এ সকল ভিডিও’র আধিপত্য বিস্তারের কারণ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সময়মতো ব্যবস্থা না নেয়ার কারণেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে এর অপব্যবহার বাড়ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড