করোনা গুজব নিয়ে যা বললেন জয়

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছে মোট ২৭ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। আর আক্রান্তদের মধ্য থেকে ৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সেই হিসাবে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ জন থেকে এখন ২০ জনে নেমে এসেছে। তারা এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন। সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত ৩ লাখের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি ছাড়িয়েছে। উৎপত্তিস্থল চীন থেকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে মরণঘাতী ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।

রবিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি দৈনিক অধিকারের পাঠকদের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো-

ফেসবুক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, ‘আপনারা জানেন নভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় ১৮০টি দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। যেহেতু এ ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি, তাই ভাইরাসটিকে ছড়িয়ে পড়া থেকে রোধ করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

চারটি বাদে বাংলাদেশে আসা সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশফেরতদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের বাসায় থাকতে বলা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে সজাগ আছে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনস্বার্থে আমরা মুজিববর্ষের কার্যক্রম সীমিত করেছি। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সব সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নিতেও আমরা প্রস্তুত।

চিকিৎসা সেবা কর্মীদের সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে আমরা তৎপর আছি। ভাইরাসটি পরীক্ষা করার সক্ষমতাও আমরা বাড়াচ্ছি। আইইডিসিআর ব্যতীত আরও তিনটি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসার সুবিধা আছে। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও এই ভাইরাসের উপসর্গসহ রোগীদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

যার যার জায়গা থেকেও আমাদের অনেক কিছু করার আছে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। অসুস্থ বোধ করলে বাসায় থাকতে হবে। নিয়মিত সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে অথবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। নাকে, মুখে ও চোখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে নিতে হবে। হাত মেলানো ও আলিঙ্গন থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্ভব হলে গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে ভূমিকা রাখার সবচেয়ে কার্যকর দুটি উপায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় রেখে চলা।

আরও পড়ুন : ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে না থাকলে প্রবাসীদের পাসপোর্ট জব্দ

বাঙালি জাতি সহনশীল ও সাহসী। অনেক বড় দুর্যোগও সফলভাবে মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। সব নির্দেশনা মেনে চললে, এ সংকটও আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারব। এই মুহূর্তে গুজব থেকেও আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সব তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিদিনই সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হচ্ছে।

আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের পাশেই আছে। আতঙ্কিত হবেন না, সতর্ক থাকুন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জয় আমাদের হবেই। জয় বাংলা।’

ওডি/টিএএফ