• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিভাগীয় শাস্তি পাচ্ছেন ডিসি সুলতানা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ মার্চ ২০২০, ১৫:২৩
কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন (ছবি : সংগৃহীত)

মধ্যরাতে সাংবাদিক নির্যাতন ও কারাদণ্ডের ঘটনায় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীনসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ডিসি সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহার করা হবে, একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

রবিবার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে এনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

এর আগে শুক্রবার (১৩ মার্চ) সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে এনে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, মাদকবিরোধী অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় আরিফুলের ঘর থেকে আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে ৯, কোয়ারেন্টাইনে ৪

সাংবাদিক আরিফুলের পরিবারের দাবি, শুক্রবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতে কুড়িগ্রাম ডিসি অফিসের কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট ১৫-১৬ জন আনসার সদস্যকে নিয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে তার ঘরে প্রবেশ করেন। কিন্তু তারা বাসায় কোনো তল্লাশি চালাননি। এ সময় আরিফুলের ঘর থেকে আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায় বলে তারা দাবি করেন।

আরিফুলের পরিবার আরও দাবি করেন, কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে নিউজ করার পর থেকে আরিফুলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি।

আরিফুলের স্ত্রী জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে খাবার খেয়ে তারা ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ কিছু লোক দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে তার স্বামী টেলিফোনে বিষয়টি স্বজনদের জানান। একপর্যায়ে তারা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে এসে আরিফুলকে মারধর করতে থাকেন। এরপর তারা আরিফুলকে তুলে নিয়ে যান।

এ ঘটনায় স্যোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠলে শনিবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রংপুর বিভাগীয় কমিশনারকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম তদন্তের দায়িত্ব দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ রানাকে।

ওডি/টিএএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড