২০২১ এর বিজয় দিবসে মেট্রোরেলের উদ্বোধন : কাদের

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর ২০২১ সালের বিজয় দিবসে মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে ঢাকাবাসীকে আগামী বছরের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেলে চড়ানোর এই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বিশেষ উদ্যোগে নির্ধারিত সময়ের ২ বছর ৬ মাস আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেলের উদ্বোধনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ।

তিনি বলেন, চলমান অর্থবছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মেট্রোরেলের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৪০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজের অগ্রগতি ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়া আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এই প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

একইভাবে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত (১.১৬ কিলোমিটার) অংশে ‘সোশাল সার্ভে’ চলছে।

ওবায়দুল কাদের সংসদে জানান, বর্তমানে বিআরটিসির বহরে মোট ১ হাজার ৮৩০টি বাস রয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে চলাচলকারী বিআরটিসির বাসের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৪টি। তার মধ্যে ঢাকা শহরে চলাচল করে ৩১৭টি বাস। যেখানে আগে ঢাকায় ছিল ২১৭টি বিআরটিসির বাস।

তিনি বলেন, ভারতীয় ঋণের টাকায় কেনার জন্য পরিকল্পিত ৬০০ বাসের মধ্যে এই ১০০টি বাস আগের বহরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাত্রী সেবা দিচ্ছে। এছাড়া ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বিআরটিসির ৫২টি বাস অনুদান হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এ দিকে, সংসদে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী জানান, ইতোমধ্যে পাট দিয়ে পলিথিনের প্রসারে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিদিন এক লাখ ‘সোনালী ব্যাগ’ উৎপাদনের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পরপরই বাণিজ্যিকভাবে ‘সোনালী ব্যাগ’ উৎপাদন শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন : সংসদে প্রধানমন্ত্রীর শাড়ির প্রশংসা, মুজিবুলকে টিপ্পনী

চলমান অর্থবছরে দেশে ৮৪ লাখ ৫৫ হাজার বেল পাট উৎপাদন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, আইভরিকোস্ট, যুক্তরাজ্য, জিবুতি, ব্রাজিল, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, তিউনিশিয়া, রাশিয়া, ইথিওপিয়া ও বেলজিয়ামে সরাসরি পাট রপ্তানি করা হয়। ফলে বিজিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন মিলগুলোতে মজুদ করা পাটপণ্য বিক্রি হলে সরকারি মিলে দেওয়া ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীদের ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের বকেয়া টাকা এ বছরের জুনের মধ্যেই দেওয়া সম্ভব হবেও জানান তিনি।

ওডি/আইএইচএন