নিজস্ব প্রতিবেদক
‘আইএসপত্নী’ শামীমা বেগমের বিষয়ে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, শামীমা যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে কখনোই আবেদন করেননি। তাই তাকে নিয়ে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা যুক্তরাষ্ট্রের লন্ডন থেকে সিরিয়ায় গিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসে দেন এবং এক জঙ্গিকে বিয়ে করেছিলেন। গত বছর তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান। আইএসে যোগ দেওয়ায় ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে রায় দেন যুক্তরাজ্যের আদালত। আদালত বলেন, ‘শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে, এতে তিনি রাষ্ট্রহীন হননি। তিনি বংশগতভাবে বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি চাইলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দাবি করতে পারেন।’
এ প্রসঙ্গে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। শামীমার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক হিসেবে জন্ম নিয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্যে থাকেন। তিনি ও তার মা কখনো বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করেননি। তার মা ব্রিটিশ নাগরিক। তার চৌদ্দ পুরুষ যুক্তরাজ্যের নাগরিক। কেবল মাত্র তার বাবা এক সময় বাঙালি ছিলেন, কিন্তু তিনি বাংলাদেশি নন, দ্বৈত নাগরিকও নন।
শামীমা বর্তমানে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের রজ নামে একটি শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন। ২০ বছরের ২০১৫ সালের শুরুর দিকে শামীমা ও তার দুই বান্ধবী সিরিয়ায় পাড়ি জমান। তারা তিনজনই পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির শিক্ষার্থী ছিলেন। সিরিয়ায় পাড়ি দিয়ে শামীমা ডাচ বংশোদ্ভূত আইএস জঙ্গি ইয়াগো রিদাইককে বিয়ে করেন।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড