এক সপ্তাহের মধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ

ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের ফল ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র ইতোমধ্যে জারি করা হয়েছে।

কমিশন সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি ৪৯ এর উপবিধি (১) অনুযায়ী, নির্বাচনের ফল ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রার্থীর ব্যক্তিগত খরচের হিসাব ও পরিশোধের বর্ণনা সংবলিত বিবরণী ইসিতে দিতে হয়।

গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থীদের ‘ব্যক্তিগত খরচ’ ও ‘নির্বাচনি খরচ’ মিলে সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকা খরচ করার বিধান ছিল।

ঢাকা উত্তর সিটিতে মোট ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন এবং দক্ষিণে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন ভোটার ছিল।

নির্বাচনি ব্যয় সীমার বিধি মোতাবেক, ২০ লাখ ১ ও এর বেশি ভোটার সংবলিত সিটিতে একজন মেয়র প্রার্থী সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ‘ব্যক্তিগত খরচ’ করার কথা। একই পরিমাণ ভোটার থাকলে ‘নির্বাচনি খরচ’ করার বিধান সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা।

দুই সিটিতে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন ভোটের লড়াই করেন।

নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ভোটের লড়াই করা প্রার্থীরা ‘ব্যক্তিগত ব্যয়ের’ ক্ষেত্রে অনধিক ১৬ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১০ হাজার, ১৫ হাজার ১ থেকে ৩০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ২০ হাজার, ৩০ হাজার ১ থেকে ৫০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার এবং ৫০ হাজার ১ ও তার বেশি ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে পারার কথা।

আরও পড়ুন : ডিএসসিসির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ফল স্থগিত

আর ‘নির্বাচনি খরচের’ ক্ষেত্রে অনধিক ১৫ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১ লাখ, ১৫ হাজার ১ থেকে ৩০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ২ লাখ, ৩০ হাজার ১ থেকে ৫০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৪ লাখ এবং ৫০ হাজার ১ ও তার বেশি ভোটারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা খরচ করার বিধান আছে।

ওডি/এএস