• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত

চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশে না ফেরার পরামর্শ

  বরিশাল প্রতিনিধি

২৯ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:১৮
তাপবিদ্যুৎ
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত চীনা নাগরিকরা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

সংক্রামক ব্যাধি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত প্রায় তিন হাজার চীনা প্রকৌশলী ও কর্মচারীদের চীন সফর না করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ (শেবাচিম) এই বিভাগের আরও পাঁচ জেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২ হাজার ৭০০ চীনা প্রকৌশলী এবং শ্রমিক কর্মরত আছেন।

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মরত চীনা এবং বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। পটুয়াখালী জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. চিম্ময় হালদারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ সভায় বক্তব্য রাখেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. চিম্ময় হালদার জানান, করোনা ভাইরাসের উপসর্গ, লক্ষণসমূহ এবং করণীয় সম্পর্কে কর্মরত চীনা কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদেরও সচেতন থাকার পরমর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব চীনা নাগরিক দেশে গেছেন তারা যেন এই মুহূর্তে বাংলাদেশে না ফেরেন এজন্য তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চলতি মাসে চীনাদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। পায়রায় কর্মরত চীনা কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা দেশে গিয়ে ওই উৎসবে অংশ নেন। কিন্তু যারা এখনো ধর্মীয় উৎসবে অংশ নিতে চীনে যাননি, সেসব কর্মকর্তা, কর্মচারীদের এ বছর না যাওয়ার বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

এ দিকে, পায়রায় কর্মরত চীনা নাগরিকদের কলাপাড়া পৌর শহরের হাটবাজারে যাওয়া এবং জনবহুল স্থানে তাদের ঘুরাফেরা নিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন : চীন থেকে সব বাংলাদেশি ফিরতে চান না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কলাপাড়া পৌর শহরের একাধিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানান, চীনা নাগরিকদের অবাধে চলাফেরা স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করছে না। ফলে একটি মহল চীনা নাগরিকদের নিয়ে নানা রকম গুজব ছড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে খোলা হয়েছে করোনা ভাইরাস ইউনিট। এই ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসক এবং ২৫ জন সেবিকা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, জরুরি বিভাগের পাশেই একটি কক্ষ করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার উপযোগী করে রাখা হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃঞ্চ মন্ডল জানান, মন্ত্রাণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বরিশাল বিভাগের সব জেলা ও সদর হাসপাতালকে আইসোলেশন ইউনিট খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওডি/টিএএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড