• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের জন্য নয় : আইনমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০৪:২৪
আনিসুল হক
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক (ছবি: সংগৃহীত)

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাইবার অপরাধ দমনের জন্য করা হয়েছে, বাকস্বাধীনতা বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এছাড়া এ আইন এখন পর্যন্ত বাকস্বাধীনতা বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে তৃতীয় ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউর (ইউপিআর) বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রথম কর্মশালায় এমন মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ আছে, এটি আমরা জানি। তবে আমি বলতে চাই, এটি সাইবার অপরাধ দমনের জন্য করা হয়েছে, বাকস্বাধীনতা বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের জন্য নয়। এখন পর্যন্ত এই উদ্দেশ্যে এ আইন ব্যবহার করা হয়নি।’

এছাড়া রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আশা করে, রোহিঙ্গাদের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। আমি আশা করি, আইসিজের সিদ্ধান্ত রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের একটি টেকসই এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।’

এরপর ইউপিআরের বিষয়েও কথা বলেন আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সাল থেকেই এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। ২০১৮ সালের তৃতীয় ইউপিআরে আমাদের ২৫১টি সুপারিশ প্রস্তাব করা হয় এবং আমরা ১৭৮টি মেনে নিই। এছাড়া বাকি ৭৩টি অভ্যন্তরীণ আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বা আমাদের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকার কারণে বা আমাদের সক্ষমতার অভাবের কারণে আমরা গ্রহণ করিনি।’

এই সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য মুজিব বর্ষে চারটি কর্মশালা করা হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী। এছাড়া প্রথম কর্মশালায় ৫৭টি সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।

কর্মশালায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশের সব উদ্যোগ আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা এবং সর্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।’

এছাড়া পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘২০২৩ সালে বাংলাদেশের চতুর্থ ইউপিআর চক্র শুরু হবে এবং তৃতীয় চক্রে ১৭৮টি সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য ২০২৩ পর্যন্ত সময় আছে বাংলাদেশের। আমরা মানবাধিকার সুরক্ষায় সবার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

কর্মশালায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্ক বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার।’

ওডি/এমএমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড