নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই খেলাধুলাকে গুরুত্ব দেয়, কারণ খেলাধুলার মাধ্যমেই আগামীর নাগরিকরা যেন যোগ্য হয়ে গড়ে উঠতে পারে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন বলেই আজকে স্বাধীন দেশে আমরা এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পেরেছি। খেলাধুলার মধ্যদিয়ে দেশের মানুষ আরও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক-সেটাই আমরা চাই।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২০-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই খেলাধুলাকে গুরুত্ব দেয় এবং আমরা চাই এই খেলাধুলার মধ্য দিয়েই আমাদের ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে যাক। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা প্রাথমিক স্কুল পর্যায় থেকেই মেয়েদের জন্য বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করেছি।
তিনি বলেন, ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা এবং দেশের মানুষের কাছেও এটি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের এই ৬ষ্ঠ আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ফিলিস্তিন জাতীয় ফুটবল দল। ফাইনালে বুরুন্ডিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন এবারও শিরোপা জয় করে।
অনেক জল্পনা-কল্পনার পর পাওয়ার ফুটবলের অনুপম প্রদর্শনীতে আফ্রো-এশিয়ার এই ফাইনালে শেষ হাসি হেসেছে এশিয়ার প্রতিনিধি এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন। অবশ্য মাত্র ৪৮ লাখ ১৭ হাজার জনসংখ্যার দেশ হলেও এশিয়ার প্রতিনিধি ফিলিস্তিন ফিফা র্যাংকিংয়ে (১০৬) প্রতিপক্ষ বুরুন্ডি (১৫১) থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) শুরু হওয়া এবারের ৬ জাতির টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে বুরুন্ডির কাছে ৩-০ গোলে পরাজিত হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। অন্যদিকে, সিসেলসকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ফিলিস্তিন। টুর্নামেন্টের অন্য দুটি দল ছিল মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা।
ইতঃপূর্বে মালয়েশিয়া লাল দল, জাপানের একটি ক্লাব একাদশ, মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২২ দল, নেপাল এবং গতবার ফিলিস্তিন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা জয় করে।
প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন দলের ক্যাপ্টেন ও কর্মকর্তাদের হাতে শিরোপা ট্রফি এবং ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের প্রাইজমানির চেক তুলে দেন। রানার্স আপ দল বুরুন্ডি ২০ হাজার মার্কিন ডলারের চেক পায়।
প্রধানমন্ত্রী উভয় দলের খেলোয়াড়, কর্মকতা, কোচিং স্টাফ এবং ম্যাচ অফিশিয়িালদের হাতে ব্যক্তিগত পুরস্কার তুলে দেন।
বুরুন্ডির আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় সিমিরিমানা জসপিন ৭ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে ‘গোল্ডেন বুট’ এবং একই সঙ্গে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ‘গোল্ডেন বল’ পুরস্কার গ্রহণ করেন। এছাড়া টুর্নামেন্টের ‘ফেয়ার প্লে’ ট্রফি ও জয় করে চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী খেলার প্রথমার্ধের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আসেন এবং অবশিষ্ট খেলা ভিআইপি গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেন। এ সময় বাংলাদেশ সফররত ব্রাজিল বিশ্বকাপ দলের গোলরক্ষক জুলিও সিজার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন : ইতিহাস গড়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন
ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, জেষ্ঠ্য সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী, ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান এবং বাফুফের কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে এই আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এই আসরের চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন ও রানার্স আপ বুরুন্ডিসহ অংশগ্রহণকারী সকল দেশের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, কোচিং স্টাফ, টুর্নামেন্টের আয়োজক এবং মাঠে আগত সকল দর্শককেও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ দিন বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদকেও শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণকারী দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, আমি আশা করি আপনারা বাংলাদেশকে পছন্দ করেছেন। বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ। আপনারা আগামীতেও আসবেন এবং আমাদের প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশগ্রহণ করবেন। আগামীতে এ ধরনের আরও অনেক টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। বাসস।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড