• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আইসিজের রায় বাংলাদেশের বিজয়  

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:২৪
মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন (ফাইল ফটো)

রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়ার করা মামলায় জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) অন্তর্বর্তী রায় ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এই আদেশ ওআইসির বিজয়, গাম্বিয়ার বিজয়, রোহিঙ্গাদের বিজয় এবং বাংলাদেশের বিজয় বলে অভিহিত করেছেন ড. মোমেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশের পর এক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ইকুয়েডর সফররত ড. এ কে আবদুল মোমেন ওই বার্তায় বলেন, এটা মানবতার বিজয় এবং গোটা বিশ্বের মানবাধিকারকর্মীদের জন্য একটি মাইলফলক। এটা ওআইসি, গাম্বিয়া, রোহিঙ্গা এবং অবশ্যই বাংলাদেশের বিজয়। সৃষ্টি কর্তা মানবতা এবং ‘মানবতার জননী’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণ করুন।

আরও পড়ুন : রোহিঙ্গা গণহত্যায় আইসিজের রায় যথার্থ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে জাতিসংঘের আদালত জানায়, সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গারা ‘গণহত্যার ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে’। এ সময় মিয়ানমারকে আরও বেশ কিছু আদেশ দেওয়া হয়।

রায়ে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিতে কোনো প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেনি মিয়ানমার। কিন্তু এ ধরনের প্রস্তাবনা খুবই প্রয়োজন ছিল। মিয়ানমারকে গণহত্যা সম্পর্কিত নীতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। পরবর্তীকালে কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ড যেন না ঘটে সেজন্য নিতে হবে সব ধরনের ব্যবস্থা।

অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে আরও বলা হয়, সামরিকবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেন কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডে না জড়ায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে মিয়ানমারকে। রোহিঙ্গা গণহত্যা সম্পর্কিত সব ধরনের আলামতও সংরক্ষণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের অগ্রগতি সম্পর্কে ৪ মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে মিয়ানমারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য কী করা হয়েছে ৬ মাস পর পর তা জানাতে মিয়ানমারকে আদেশ দিয়েছে আইসিজে।

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানি শুরু হয়, যা চলে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিন দিনের ওই শুনানিতে উভয় পক্ষ তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করে। গাম্বিয়ার পক্ষে মামলার শুনানিতে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। অন্যদিকে, মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন দেশটির নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।

২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিশাল সামরিক অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এতে প্রায় সাত লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা ওই রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মূলত ওই অভিযান নিয়েই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া।

ওডি/টিএএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড