করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই

চীন থেকে বিশ্বের কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস। এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশও। এখন অব্দি চীন থেকে আগত দুজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হলেও এ ভাইরাস পাওয়া যায়নি। তারা ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসে আক্রান্ত।

একই সঙ্গে গত কয়েকদিনে চীন থেকে আসা বিভিন্ন ফ্লাইটের ৯০০ যাত্রীকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা হয়। তাদের মধ্যে কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত নন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিজ কন্ট্রোলরুম (সিডিসি) আয়োজিত ‘২০১৯ এন কভ ভাইরাস আউটব্রেক’ সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা ও সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিডিসি পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা।

জানা যায়, চীনের উহান শহরের একটি মাছের বাজার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। করোনা ভাইরাস নামের এই ভাইরাসটি নিউমোনিয়া সদৃশ। এটি বিশ্বব্যাপী নোবেল করোনা ভাইরাস, উহান করোনা ভাইরাস, উহান ফ্লু, উহান সি ফুড মার্কেট নিউমোনিয়া ভাইরাস ও উহান নিউমোনিয়া ইত্যাদি নামে পরিচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে 2019-nCoV নাম দিয়েছে।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরো বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বানিজ্য ও পর্যটকদের নিয়মিত যাতায়াত থাকায় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। আর তাই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।

আরও পড়ুন : চীনে অজ্ঞাত ভাইরাসে ১৭ জনের মৃত্যুর পর উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা

তিনি জানান, দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া গেলে তাদের আলাদা করে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে পৃথক ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাবতীয় পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য রিএজেন্টও রয়েছে। নমুনা পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চীন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কলোম্বিয়া, যুক্তরাজ্য ও অষ্ট্রেলিয়ায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ওডি/এনএম