চট্টগ্রাম, লোহাগাড়া প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সব সংকটের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন প্রয়াত সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন। ক্রাইসিসে আবেদিন ছুটে আসতেন। তিনি দলের কর্মীদের সঙ্গে, জনগণের সঙ্গে গণভবন ও সরকারের সঙ্গে সেতুবন্ধন রচনা করেছিলেন।
তিনি বলেন, জয়নুল আবেদিন বিনয়ী ছিলেন। কোনো অহঙ্কার ছিল না তার। একজন সৈনিক হয়েও পেশাগত জীবনের গণ্ডি পেরিয়ে জনগণের সঙ্গে অবাধে মিশে যেতে পারতেন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি মেহেরুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন বীর বিক্রম, পিএসসির নাগরিক শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা রাজনীতিকরা নির্বাচনের আগে মানুষকে কাছে টানি, প্রতিশ্রুতির রঙিন বেলুন উড়াই। মনে হয় আমরা কত আপন, কত জনদরদি! নির্বাচন শেষ হলে আমরা অবলীলায় সব ভুলে যাই। ভুলে যাই প্রতিশ্রুতির কথা। নির্বাচনের সময় মানুষের কাছে গিয়ে জনদরদির মতো যে অভিনয় করি নির্বাচনের পরে সত্যিকারের যে পরিচয় সেটা মানুষ বুঝতে পারে। জেনারেল আবেদিনকে আমি শ্রদ্ধা করি, স্যালুট করি। তিনি চলে গেছেন কিন্তু রেখে গেছেন বহু র্কীতি। তিনি তার গ্রামে বিদ্যুতের আলো ও শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য গড়ে তুলেছেন হাসপাতাল। তিনি অসাধারণ গুণাবলি, চারিত্রিকি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন, তার তুলনা নেই। মানুষের প্রতি তার ভালবাসার কোনো তুলনা হয় না।
জেনারেল আবেদিন তার কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশবাসীর হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন। সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বীর বিক্রম জয়নুল আবেদিন উচ্চ বিদ্যালয়কে বিশেষ বিবেচনায় এমপিও ভুক্তির ঘোষণা দেন এবং এলাকার জন্য তার ভবিষ্যত পরিকল্পনাসমূহও বাস্তবায়নের কথা জানান।
প্রয়াত সামরিক সচিবের বড়ভাই আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইসমাইল মানিকের সভাপতিত্বে ও লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌছিফ আহমদের উপস্থাপনায় শোক সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ওয়াসিকা আয়েশা খান, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন : ঠান্ডাজনিত রোগে মৃত্যু ৫৭ জনের
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— শোক সভা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ও লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন হিরু প্রমুখ। শোক সভা শুরুর আগে সামরিক সচিবের কবর জিয়ারত করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যরা। শোক সভা শুরুর পূর্বে মঞ্চে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন বীর বিক্রম, পিএসসি গত ১৭ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের মারা যান। চুনতির সিকদার পাড়াস্থ চুনতি জামে মসজিদ কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড