• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আজ ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

  অধিকার ডেস্ক

২২ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:৪০
ই-পাসপোর্ট
ছবি : সংগৃহীত

বহুল প্রতীক্ষিত ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অধিকতর নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জার্মান কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ কর্তৃক বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে সর্বনিম্ন পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত।

৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা।

নতুন পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরিতে তিন দিনে, জরুরিতে এক সপ্তাহে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট দুই দিনে, জরুরি পাসপোর্ট তিন দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যে দেওয়া হবে।

বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য আলাদা ই-পাসপোর্ট ফি ধার্য করা হয়েছে। ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদী সাধারণ ফি ১০০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৫০ মার্কিন ডলার। ১০ বছর মেয়াদী সাধারণ ফি ১২৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে।

ইলেকট্রনিকস পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) মোতাবেক পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

এ দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-পাসপোর্টের জন্য ৯টি ই-গেট বসানো হয়েছে। তার মধ্যে ৬টি বহির্গমন টার্মিনালে ও ৩টি আগমনী টার্মিনালে।

এ বিষয়ে বিমানবন্দরেরর পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯টি ই-গেট বসানো হয়েছে, সেগুলোর টেস্টরানও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর ই-গেটগুলো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

আরও পড়ুন : ইসির আইনশৃঙ্খলা সভা আজ

বিমানবন্দরে ই-গেট বসানোর বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ৬টি বহির্গমন টার্মিনালে ও ৩টি আগমনী টার্মিনালে ই-গেট বসানো হয়েছে, আরও বসানো হবে। যেসব দেশে যেতে ভিসার প্রয়োজন হবে না সেসব দেশের যাত্রীরা ই-গেট ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। যেসব দেশে ভিসার প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হবে। এর ফলে মানুষের দ্রুত ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে। বিমানবন্দরের কার্যক্রম গতিশীল হবে।

ওডি/এএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড