নিজস্ব প্রতিবেদক
শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ পেছাল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ সংক্রান্ত এক জরুরি সভা শেষে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
সিইসি বলেন, সিটি নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সময়সূচি পরিবর্তন করেছেন। সেই আলোকে নির্বাচন পেছানো হয়েছে।
সিইসির নেতৃত্বে এ বৈঠকে অংশ নেন- নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পেছানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে আমরণ অনশন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ। বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ একই দাবি জানায়। নির্বাচন পেছাতে হাইকোর্টে একটি রিটও হয়। রিটটি আপিল বিভাগে রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার বিকাল সোয়া চারটার দিকে জরুরি বৈঠকে বসে ইসি। সেখানে দীর্ঘ আলোচনা শেষে ভোট পেছানোর সিদ্ধান্তটি হয়।
ইসির তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কথা ছিল। তবে ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা রয়েছে। পূজার বিষয়টি উল্লেখ করে গত ৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ হাইকোর্টে একটি রিট করেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) শুনানি শেষে রিটটি খারিজ করে দেন আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। ওই রিটে বলা হয়, দেশের সব বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়। নির্বাচন উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে, তাই এটি সাংঘর্ষিক।
ওডি/টিএএফ/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড