• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সব প্রতিষ্ঠানকে প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

  চবি প্রতিনিধি

১১ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:০৪
তথ্যমন্ত্রী
বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

সরকারি, বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হতে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইন্সটিটিউট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রকৃতির প্রতি খেয়াল করে না। আমি অবাক হয়ে যাই, দেড় থেকে দুই বছর আগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো একটি প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন্সের পাশে রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে ৩০০ ফুট পাহাড় কেটে ফেলেছে। বিষয়টি আমাকে প্রচণ্ড পীড়া দিয়েছে।'

তথ্যমন্ত্রী বলেন, '১১ বছর আগে দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ ১৯ শতাংশের নিচে ছিল। এখন তা ২৪ শতাংশের বেশিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। শহরে মানুষ বেড়েছে, দালান বেড়েছে। এরপরও বৃক্ষ বেড়েছে। এর কারণ মানুষ সচেতন হচ্ছে।' তথ্যমন্ত্রী এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকটে প্রতিটি নবজাতকের নামে একটি করে গাছ লাগানোর অনুরোধ জানান।

আরও পড়ুন : ভাইরাল মুখ দিয়ে লিখে পাস করা সেই জবি শিক্ষার্থীর ছবি ড. হাসান মাহমুদ আরও বলেন, 'বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ ছোট একটি দেশ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১শ লোক বসবাস করে। তবুও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে একটি বিস্ময় ও কেস স্টাডি। এর কারণ দেশ ছোট হলেও উর্বর।'

এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য বক্তব্য রাখেন গিয়াস উদ্দীন আহমেদ এবং মোহাম্মদ মহিউদ্দীন প্রমুখ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, 'এই বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অন্যরকম। এটা সবুজ-শ্যামল। ছোট ছোট পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। এর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য স্বকীয়তা বজায় রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে। আমরা আমাদের সিনিয়র শিক্ষক ও যারা এসব বিষয় বুঝেন, তাদের নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছি, তা শীঘ্রই সাবমিট করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে সবুজ সমারোহকে অক্ষুণ্ণ রেখে। আমরা চট্টগ্রামের বড় বড় স্থপতিদের সাথে বসেছি। প্রয়োজনে জিওসির সহায়তা নিব।'

আরও পড়ুন : মিষ্টিমুখ করিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে স্বাগত জানালেন শিক্ষকরা

সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তি রক্ষা মিশনে এক নম্বর দেশ। বিভিন্ন দুর্যোগে সবার আগে ছুটে আসে সেনাবাহিনী। শিক্ষা ক্ষেত্রেও এই বাহিনী অনন্য অবদান রেখে চলেছে। সেনাবাহিনী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতেও সম্পৃক্ত।'

এ সময় তিনি ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহীত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করার ঘোষণা দেন। একই সাথে নিজেদের নার্সারি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ২ হাজার গাছ প্রদানের ঘোষণা দেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহাম্মদ বেলাল।

ওডি/এমআরকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড