নিজস্ব প্রতিবেদক
পিঠা-পুলি দেশের ঐতিহ্য উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছেন, জীবন সহজ করতে গিয়ে বাসা-বাড়িতে পিঠা-পুলি তৈরি করা অনেকটা ছেড়েই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এগুলো আমাদের ঐতিহ্য। সেখান থেকে ফিরে আসলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ঐহিত্য-সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে, জীবন সহজ করতে গিয়ে আমরা আমাদের সংস্কৃতিগুলো যেন হারিয়ে না ফেলি।
শনিবার (০৪ জানুয়ারি) সকালে মাটির ‘আইলা’ জ্বালিয়ে তিন দিনব্যাপী পৌষমেলা উদ্বোধন শেষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে, যন্ত্রসংগীত বাদনের মধ্য দিয়ে রাজধানীর বাংলা একাডেমি নজরুল চত্বরে মেলাটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, গ্রাম এবং শহর একই সুতোয় বাঁধা। এ দুটোর মধ্যে আলাদা কিছু নেই। আমরা যেন সেখানে প্রভেদ না করি।
তিনি বলেন, আমাদের সন্তানেরা আজ যে স্ন্যাকস, স্যান্ডুইচ, বার্গারের ভিড়ে আমাদের পিঠা-পুলিগুলো ভুলতে বসেছে, এটা আমাদেরই দোষ। আমাদের উচিত তাদের সেগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।
মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন— পৌষমেলা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ।
তিন দিনব্যাপী এ পৌষমেলা উপলক্ষে একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে চলছে দেশীয় পিঠা-পুলির প্রদর্শনীও। বিভিন্ন স্টলে রয়েছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পাটিসাপটা, তালবড়া, বিবিখানা, মেন্ডা, মোরা, ঝিনুক, দুধ চিতই, জামাই পিঠা, বউ পিঠা, ভাপা পিঠা, পুলি, পাকান, খেঁজুর পিঠা, মালপোয়াসহ নানা স্বাদের পিঠা। আছে পায়েস আর ফিরনিও।
আরও পড়ুন : বৃদ্ধি পাবে দিনের তাপমাত্রা
প্রতিদিন সকাল ৮টায় মেলা শুরু হবে। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। সঙ্গে থাকবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও। মেলা শেষ হবে আগামী সোমবার (০৬ জানুয়ারি)।
ওডি/এএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড