অধিকার ডেস্ক
খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানের মতো মীর জাফররা ভবিষ্যতে যেন, এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেই দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর মিথ্যা ইতিহাস তৈরি করে জিয়া বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলার মাটিতে বার বার মীরজাফরদের জন্ম হয়েছে। তারা সব সময় দেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা সেটা করতে পারেনি। অন্যদিকে, যারা এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে তারাই শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে খন্দকার মোশতাক, জিয়ার মতো মীর জাফররা ভবিষ্যতে যেন আর ক্ষমতায় না আসতে পারে এবং দেশের উন্নয়ন আর যেন বাধাগ্রস্ত না হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম দেশের মানুষের জীবনযাপনে আওয়ামী লীগ যে পরিকল্পনা করে দিয়েছে, সেই পথ ধরেই এগিয়ে যাবে দেশ। আমাদের সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করব আমরা, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও আমরা উদযাপন করব।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরেই জাতিকে মেধাশূন্য করতে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল হানাদার বাহিনী। অপশক্তির রক্তচক্ষু আর ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে শহীদরা যা বলতে চেয়েছেন সে কথাই যখন বলছে বাংলাদেশ, সেই সময়ে শহীদ সূর্য সন্তানদের স্মরণে বুদ্ধিজীবী দিবসের এই আলোচনা সভা।
বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের মূল লক্ষ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় জিয়াউর রহমানকে খন্দকার মোশতাক সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান।
আরও পড়ুন : ভাগ্যবানরা ঢাকায় থাকেন : শিল্পমন্ত্রী
তাই ভবিষ্যতে এ দেশ ও জাতির ভাগ্য নিয়ে যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে নতুন প্রজন্ম ও যুব সমাজকে সেই দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, খুন, হত্যা ও দুর্নীতির ধারক বিএনপি দেশের ছাত্র সমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে জাতিকে মেধাহীন করতে চেয়েছিল।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড