নিজস্ব প্রতিবেদক
অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো, ঠিকাদারি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে যারা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, এ তালিকায় ১৮৭ জনের নাম রয়েছে। তবে তাদের নাম এখনই প্রকাশ করা হবে না।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন দুদক চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি, অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় নেই জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতিবাজরা দুদকের জাল থেকে কোনোভাবেই বের হতে পারবে না। কোনো তদবির এখানে কাজ করবে না। দুর্নীতিবাজদের আইন-আদালতের মুখোমুখি হতে হবেই।
তিনি বলেন, দুদকের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। বড় বড় রুই-কাতলা হিসেবে যাদের নাম পেয়েছি তাদের কারও নাম এখনই প্রকাশ করা হবে না। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে ইতোমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আরও অনেককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অর্থ পাচারের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় সাজার হার এখন শতভাগ।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ট্রেড বেইজড মানি লন্ডারিং বেশি হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের বেশি মামলা করার কথা। কার কী দায়িত্ব তা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র্যাকের সভাপতি মোর্শেদ নোমার। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আদিত্য আরাফাত। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম ও সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।
ওডি/কেএসআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড