অধিকার ডেস্ক
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) জন্য ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের বিতরণ ব্যয় ৮৭ পয়সা এবং ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) জন্য ৮১ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি কমিটি। সোমবার (২ ডিসেম্বর) টিসিবি মিলনায়তনে বিদ্যুতের গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানোর শুনানিতে এই সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশ করা হয়েছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের জন্য।
শুনানিতে ডেসকোর ইউনিট প্রতি বিতরণ ব্যয় ১ টাকা ৩৯ পয়সা এবং ডিপিডিসির বিতরণ ব্যয় ১ টাকা ২৪ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিইআরসি পাইকারি বিদ্যুতের দাম যতটা বাড়াবে তা ‘পাস থ্রু’ হিসেবে ধরে বিদ্যুতের খুচরা দাম বাড়াবে কমিশন। অর্থাৎ পাইকারি দাম বাড়ানোর সঙ্গে কমিশন বিতরণ ব্যয় যোগ করে খুচরা দাম নির্ধারণ করবে। কমিশনের কারিগরি কমিটি প্রতি ইউনিটে ৯৩ পয়সা দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
শুনানিতে ডেসকোর পক্ষে প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহিদ সারোয়ার। আর ডিপিডিসির পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে আমরা কল সেন্টার চালু করেছি। ভোক্তার বিল প্রদান আরও সহজ করার জন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইলের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছি। মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার পাশাপাশি এসএমএস-এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বন্ধের খবর গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিই আমরা।’
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমরা সাড়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিতরণ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। এখন আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ ১ হাজার ৬৯ মেগাওয়াট। ঢাকার অভিজাত এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে ডেসকো।’
বর্তমানে ডিপিডিসির বিতরণ ব্যয় ইউনিটপ্রতি ৭৩ পয়সা এবং ডেসকোতে ৬৪ পয়সা। ডিপিডিসি এবং ডেসকো এই দুটি বিতরণ কোম্পানিই এখন বিদ্যুৎ বিক্রি করে লাভ করছে। এই পরিস্থিতিতে বিতরণ কোম্পানির দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ নেই বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ওডি/এসসা
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড