• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৪৫

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:৪০
বাংলাদেশে ট্রেন দুর্ঘটনা
কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনা (ছবি : সংগৃহীত)

বাংলাদেশে যাত্রাপথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু নতুন কিছু নয়। সড়কপথে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হচ্ছে। তবে সড়কের চেয়ে যাতায়াতের জন্য রেলপথকে নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছরই ট্রেন দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েই চলেছে। এসব দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫৪৫ জনের।

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৬ জন যাত্রী। এ ঘটনায় তূর্ণা নিশীথা নামক ট্রেনের চালকের অবহেলার কারণ উঠে এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে তূর্ণা নিশীথার লোকোমোটিভ মাস্টার, সহকারী মাস্টার ও পরিচালককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মিয়া জাহান তিনজনকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তবে ট্রেন দুর্ঘটনা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। সর্বশেষ চলতি বছর ২০১৯ সালেরই ২৩ জুন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। উপজেলার বরমচাল লেভেলক্রসিং এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে খালে ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় ৬ জন নিহত হন। আহত হন ৪০ জন।

দেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৮৯ সালে। ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন আউটারে এ দুর্ঘটনায় ১৭০ জন নিহত হন। আহত হন ৪০০ যাত্রী। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত হন ১৩ জন। আহত হন ১০০ জন।

১৯৭২ সালের ২ জুন যশোর ট্রেন দুর্ঘটনায় ৭৬ যাত্রী মারা যায় এবং ৫০০ যাত্রী আহত হয়। ১৯৭৯ সালের ২৬ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গার কাছে একটা ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ৭০ যাত্রী মারা যায় এবং ৩০০ যাত্রী আহত হয়।

এছাড়া আরেকটি ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছিল ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি। দিনাজপুর হিলি রেলওয়ে স্টেশনে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ৫০ যাত্রী। আহত হন দুই শতাধিক।

এছাড়াও ১৯৮৩ সালের ২২ মার্চ ঈশ্বরদীর কাছে একটি রেল সেতু ভেঙে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হন ৬০ যাত্রী। আহত হন দেড় শতাধিক।

১৯৮৫ সালের ১৩ জানুয়ারি খুলনা থেকে পার্বতীপুর গামী সীমান্ত এক্সপ্রেসের কোচে আগুন ধরে যায়। এতে ২৭ জন যাত্রী মারা যায় এবং ২৭ জন আহত হয়।

১৯৮৬ সালের ১৫ মার্চ সর্বহারার নাশকতায় ভেড়ামারার কাছে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে পড়ে গিয়ে ২৫ যাত্রী নিহত হন। আহত হন ৪৫ যাত্রী।

২০০৪ সালে চট্টগ্রাম নাউটি এলাকায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন প্রাণ হারান। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আখাউড়া আজমপুর রেলওয়ে স্টেশনে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৪ জন প্রাণ হারান।

২০১০ সালে নরসিংদীতে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ‘মহানগর গোধূলি’ ও ঢাকাগামী মেইল ‘চট্টলা’ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক।

২০১৬ সালে নরসিংদীর আরশীনগরে এক যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হলে দুইজন নিহত হন। আহত হন ১০ জন।

২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ৫ জন নিহত হন। আহত হন ৪৫ জন।

ওডি/এআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড